চাঁদপুর: চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার হোসেনপুর গ্রামে গাউছিয়া সেকান্দর আলী ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসায় একটি পক্ষ ওয়াজ মাহফিলের নামে এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটানোর অপচেষ্টায় লীপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিষয়টি বিস্তারিত বিবরণ লিখে চাঁদপুরের পুলিশ সুপারের নিকট ৩ জানুয়ারি অভিযোগ করেছেন মরহুম সেকান্দর আলীর স্ত্রী মোসাম্মৎ ফেরদৌসৗ বেগম।
মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে তিনি এই বিষয়ে সাংবাদিকদেরকে অভিযোগের বিষয়টি অবহিত করেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সেকান্দর আলী ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা ও এতিমখানা ফেরদৌসী বেগমের স্বামী সেকান্দর আলী প্রতিষ্ঠাতা। তিনি মাদ্রাসা ও এতিমখানা পরিচালনা করেছেন। তাঁর মৃত্যুর আগেই ছেলে মো. মহিউদ্দিন মাহবুবকে এই প্রতিষ্ঠান অছিয়তনামা দলিল করে দিয়ে যান। মাহবুব প্রবাসে চলেগেলে তার মা ফেরদৌসী বেগমকে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে যান। কিন্তু ফেরদৌসী বেগম মাদ্রাসা ও এতিমখানা পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়ার পর একটি পক্ষ দাঁড়িয়েছে এবং মাদ্রাসা ও এতিমখানা পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ফেরদৌসী বেগমের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ও গোপনে ষড়যন্ত্র করে আসছে। অভিযুক্তরা হলেন-রফিকুল ইসলাম, মো. ইমরান হোসেন মো. হাসিম ও মো. মজিবুর রহমান। তাদের সকলের বাড়ী হোসেনপুর গ্রামে। বিশৃঙ্খলার অংশ হিসেবে রফিকুল ইসলাম গংরা গত ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ইং তারিখ সকাল ৮টায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির প্রস্তুতি নেয়। বিষয়টি ফেরদৌসী বেগম শাহরাস্তি থানাকে জানালে পরিস্থিতি শান্ত থাকে।
ফেরদৌসী বেগম বলেন, এরপর রফিকুল ইসলাম গংরা আমার উপস্থিতিতে উত্তজিত হয়ে বলেন ৫ জানুয়ারী ২০২২ইং সকাল ৭টায় তারা আবারও শান্তি শৃঙ্খলা নষ্ট করার জন্য একত্রিত হবেন। আমি এই বিষয়ে চাঁদপুরের মাননীয় পুলিশ সুপার মহোদয় বরাবর আবেদন করেছি শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য।
তিনি আরো বলেন, এর আগে সংঘবদ্ধ চক্রটি ২০২১ সালের ৩ ডিসেম্বর উল্লেখিত মাদ্রাসা ও এতিমখানায় ওয়াজ মাহফিল করবে বলে প্রচারণা শুরু করে। তখনও আমি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় পরিস্থিতি শান্ত রাখার চেষ্টা করি।
ফম/এমএমএ/