শাহরাস্তি (চাঁদপুর): হাসপাতালের দুটি কক্ষে উন্নত মেঝে কয়েকটি শয্যা। বারান্দায় একটি কর্নার। সেখানে শিশুদের নানা রাইড। রোগীদের সঙ্গে আসা শিশুরা এসব রাইডে চড়ে আনন্দময় সময় কাটাচ্ছে। কক্ষের দেয়ালে নানা শিশুতোষ চিত্র।
শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২য় তলায় সম্প্রতি স্থাপিত নবজাতক ও শিশু ওয়ার্ডের চিত্র। রোগীর সাথে আসা অভিভাবকদের মতে, এটি শুধু ওয়ার্ড নয়, পরম মমতা ঘেরা নান্দনিক শিশু পার্ক। যেখানে শিশুরা চিকিৎসা নিতে এসে খেলাধুলা করতে পারছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের দুটি সজ্জিত কক্ষে সুরম্য টাইলসের উপর ১০ রোগীর শয্যা। উপরের দেয়ালে মিনা-রাজু, টম এন্ড জেরির নানা খুনসুটির দৃশ্য। রোগের যন্ত্রণা ভুলে শিশুরা তাকিয়ে আছে সেগুলোর দিকে। যারা একটু উন্নতির দিকে তারা ও সাথে আসা অন্য শিশুরা খেলছে বারান্দা সংলগ্ন কর্নারে।
শিশু কর্নারে খেলতে থাকা নাদিয়া জানান, ছোট ভাইটি অসুস্থ। আম্মু ও দাদু তাকে নিয়ে ব্যস্ত। আমি খেলাধুলা করছি। আমার খুব ভালো লাগছে।
ওই ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন এক শিশুর অভিভাবক মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, ৪ দিন ধরে ছোট মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে তিনি। স্ত্রী অসুস্থ মেয়েকে দেখছেন। নিজে রোগীর ফুটফরমাশ নিয়ে ব্যস্ত। এ সময় সাথে থাকা অন্য শিশুটি বিভিন্ন খেলনা সামগ্রী নিয়ে ব্যস্ত থাকায় কিছুটা চাপমুক্ত তিনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডাঃ মোঃ নাসির উদ্দিন জানান, চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সাহাদাত হোসেন চলতি মাসে প্রথম দিকে ১০ শয্যা বিশিষ্ট নতুন শিশু ওয়ার্ডটি উদ্বোধন করেছেন। এ হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ১০ জন শিশু রোগী ভর্তি হয়। অন্য ওয়ার্ডে বিভিন্ন রোগীর সাথে গাদাগাদি করে শিশুরা বিভিন্ন সংক্রমক রোগে আক্রান্ত হতে পারে এ আশঙ্কা থেকে শিশু ওয়ার্ড আলাদা করা হয়েছে। যেহেতু এই ওয়ার্ডে শিশুরা চিকিৎসা নিবে তাই তাদের বিনোদনের জন্য কিছু শিশুতোষ সাজশয্যা ও সামগ্রীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, হাসপাতালের ক্যাঙ্গারু মাদার কেয়ার ইউনিটে (কেএমসি) প্রতিমাসে ৮ থেকে ১০ জন কম ওজনের নবজাতক শিশুর চিকিৎসা দেয়া হয়।
ফম/এমএমএ/