
সাম্প্রতিক সময়ে কমিটি ঘোষণার সময় নেতারা। ছবি: সংগ্রহীত।
শাহরাস্তি (চাঁদপুর): শাহরাস্তি উপজেলা জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের একের পর এক কমিটি ঘোষণা কেন্দ্র করে নেতাকর্মীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। জেলা শ্রমিক দলের সংগঠন বহির্ভূত কর্মকান্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপির উপজেলার নেতৃবৃন্দ। গত কয়েকদিন ধরে এ নিয়ে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ লক্ষ করা গেছে।
জানাযায় গত ৫ মার্চ পৌর কাউন্সিলর সাবেক সভাপতি কাজী আঃ কুদ্দুস রানাকে সভাপতি ও বাচ্চু মিয়াকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে ৬১ সদস্য বিশিষ্ট শাহরাস্তি উপজেলা শ্রমিক দলের কমিটি ঘোষণা করে জেলা শ্রমিক দল। কমিটি ঘোষণার পর বিভক্ত শাহরাস্তি উপজেলা বিএনপির একটি অংশের অপপ্রচারের শিকার হয়ে গত ২২ মার্চ নবগঠিত উপজেলা শ্রমিক দলের নেতৃবৃন্দ সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে এর প্রতিবাদ জানান।
গত ২৫ মার্চ ২০ দিনের মাথায় জেলা শ্রমিক দল হঠাৎ করেই শাহরাস্তি উপজেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন। এনিয়ে স্হানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। জেলা শ্রমিক দলের এমন অর্মকান্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নেতাকর্মীরা। এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি নজরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি মোবাইল ফোনে জানান, গত ৫ মার্চ শাহরাস্তি উপজেলা শ্রমিক দলের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এরপর কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে ২৫ মার্চ আবার কমিটি বাতিল করে আহব্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
উপজেলা শ্রমিক দলের দীর্ঘ দিনের সভাপতি পৌর কাউন্সিলর কাজী আঃ কুদ্দুস রানা বলেন, দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হকের সরাসরি হস্তক্ষেপের কারণে ধারাবাহিক কমিটি বাতিল করা হয়েছে। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের সভাপতির বাড়ি হাজীগঞ্জে হওয়ায় কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের মাধ্যমে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। পৃথিবীর কোথাও এমন নজির নেই পূর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষণার ২০ দিনের মধ্যে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা। এতে করে দল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এদিকে পৌর শ্রমিকদলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর ঐ কমিটি থেকে লিখিত ভাবে ১৯ জন সদস্য পদত্যাগ করেছেন। নেতাকর্মীরা দাবি করেন আওয়ামীলীগের দুইজন সমর্থক রয়েছে পৌর শ্রমিকদলে।
এমনকি পৌর কমিটির সদস্য সচিব কাজী রুবেল মাদক মামলায় জড়িত হয়ে বর্তমানে প্রবাসে রয়েছে। শাহরাস্তি পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফারুক হোসেন মিয়াজী বলেন, কার নির্দেশে কমিটি ঘোষণা করা হয় আমরা কিছু্ই জানিনা। এতে করে সাধারণ নেতাকর্মীদের মাঝে দ্বিধাবিভক্তি তৈরি হয়েছে। দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে যে কোন কমিটি করা হলে তা মেনে নেয়া হবে না।
ফম/এমএমএ/