চাঁদপুর: চাঁদপুর সদরের শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের শাহতলীতে ঈদের দিন মন্টু পাটওয়ারীর নেতৃত্বে জুয়ার আসর বসানো হয়। আর জুয়ার আসরের প্রতিবাদ করায় ৪ জনকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শাহতলী খন্দকার বাড়ীর দক্ষিণ পাশে ব্রীজের ওপরে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরেই বিষয়টি স্থানীয়রা পুলিশকে অবগত করেন।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাগেছে, ঈদের দিন দক্ষিণ শাহতলী নুরু গাজীর বাড়ীর সামনে মন্টু পাটওয়ারীর নেতৃত্বে জুয়া খেলার আসর বসানো হয়। সারা দিন ওই জুয়া চলার পর সামাজিক অবক্ষয় হচ্ছে দেখে এর প্রতিবাদ করে এবং প্রমাণসরূপ সন্ধ্যায় ছবি উঠাতে যায় স্থানীয় ফারুক বেপারী। আর এতেই জুয়াড়ি চক্র ক্ষিপ্ত হয়ে ফারুকে প্রান নাশের হুমকি দেয়।
স্থানীয়রা আরো জানায়, ঈদের দিনে জুয়া খেলার ওই ছবি উঠানোর জের ধরে পরদিন দফায় দফায় হামলা চালানো হয় ফারুক ও তার পরিবারের ওপর।
এদিকে এ ঘটনায় আহত চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মালেক হোসেন মুন্না বলেন, আমরা জুয়া খেলার প্রতিবাদ করায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমাকেসহ আমাদের কুদ্দুস বেপারী, তার ভাই ছিদ্দিক বেপারী এবং ছেলে ফারুক বেপারীকে হত্যার উদ্দ্যেশ্যে বেধম পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করেছে জুয়াড়ি চক্র সন্ত্রাসীরা।
হামলাকারীরা হচ্ছেন- শাহতলীর মৃত কালাম মিজির ছেলে ইমান মিজি, হান্নান পাটওয়ারীর ছেলে মন্টু পাটওয়ারী, নূরু গাজীর ছেলে বিল্লাল গাজী, রবি গাজী, সাইফুল গাজী, সিরাজের ছেলে বাবু, জয়নালের ছেলে আক্তারসহ আরও ১৫ থেকে ২০ জন।
মুন্না আরও বলেন, আমাদের কুদ্দুস বেপারীর অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে তাকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে। ঐ সময় আমাদের মানিব্যাগে থাকা ৩০ হাজার টাকা, ব্যবহৃত স্যামসাং মোবাইল ছিনিয়ে নেয় সন্ত্রাসীরা। এছাড়াও রামদা, চাপাতি ও বাঁশ নিয়ে আমাদের বাড়ীতে গিয়েও এই সন্ত্রাসীরা ব্যাপক ভাঙ্গচুর চালায়। আমরা প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু ও ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করছি। এ ঘটনায় থানায় মামলা পক্রিয়াধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে তাৎক্ষনিক হামলাকারীদের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. বিপ্লব দাস বলেন, শাহতলীর মারামারির ঘটনায় কুদ্দুস নামে এক রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে দ্রুত ঢাকায় রেফার করা হয়। অন্য রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার এএসআই মোঃ জসীম বলেন, খবর পেয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফম/এমএমএ/