
সংগ্রহীত ছবি।
চাঁদপুর: চাঁদপুর জেলা লবি রহমান কুকিং ফাউন্ডেশন এর সাফল্য অর্জন করে চলেছে। সমাজের পিছিয়ে পরা নারীদের নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রয়াসে এ ফাউন্ডেশনটি তৈরী হয়। এরই ধারাবাহিকতায় লবি রহমান কুকিং এর পক্ষ থেকে দেশব্যাপী একটি প্রতিযোগিতার আযোজন করা হয়। যেখানে চাঁদপুরের ৩ নারী উদ্দোক্তা সাফল্য অর্জন করেন।
বুধবার (২৩ জানুয়ারি) মুঠোফোনে এসব তথ্য দেন চাঁদপুর জেলা লবি রহমান কুকিং ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট শারমিন আক্তার জুঁই।
তিনি এই কুকিং ফাউন্ডেশনটি চাঁদপুরে আনার জন্য লবি রহমানকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এত সুন্দর একটি কুকিং ফাউন্ডেশন আমরা চাঁদপুরবাসী পাবে তা কখনো ভাবতেও পারিনি। আমরা এখন আপনার সুন্দর সুন্দর চিন্তা এবং উপস্থাপনের অংশ হিসেবে থাকতে পারব আর তারই একটি অংশ হিসেবে প্রথমবারের মতো চাঁদপুরে পিঠা প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছেন। আরো ধন্যবাদ জানান মিতা দীপ, রূম্পা রহমাস, পলিন ডি রোজারিও, নাহিদ সাত রং কে।
তিনি আরো বলেন, অনেকে এই ফাউন্ডেশনটি চাঁদপুরে আশার পরে অনেক কটূক্তি করেছিলেন আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই এই ফাউন্ডেশনটি একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। আশা করছি আমরা যারা এই ফাউন্ডেশনের সাথে যুক্ত আছি তারা অনেক কিছু ধীরে ধীরে জানতে ও শিখতে পারব। চাঁদপুর থেকে যেই আপুগুলো পিঠা প্রতিযোগীয় অংশগ্রহণ করে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় হন ও অপেক্ষা মান তালিকার দুইজন নাহিদ সুলতানা, নুহা তাসনিম রেহানা কাউছার, বাম্পী রায়, মৌসুমি বারী। তারা ঢাকার রাওয়া ক্লাবে চূড়ান্ত পিঠা প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করে এবং তারা অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পেরেছে। আলহামদুল্লিল্লাহ প্রথমবার হিসেবে তারা তাদের বেষ্ট দিয়েছে। তাদেরকে অনেক ধন্যবাদ। বিশেষ করে চাঁদপুর জেলা কমিটির সদস্যদেরকেও অনেক ধন্যবাদ সবসময় পাশে পাই বলে। সকল জেলা কমিটি ও প্রতিযোগী আপুদের সাথে সারাদিন একসাথে থাকতে পেরে খুব ভাল লেগেছে সবার। আমরা খুব আশাবাদী প্রতিভাবান আপুদের সাথে নিয়ে আমরা এগিয়ে যাব। তারই ধারাবাহিকতায় এদিনে সকাল সকাল তাদের লিখিত রেসিপি ও ছবি যখন দেখোল ম্যাগাজিন অনন্যা তে প্রকাশিত হয়েছে তারা খুবই আনন্দিত ছিল। তাদের আনন্দই আমাকে আরো ভালো কাজের অনুপ্রেরণা যোগায়।
ফম/এমএমএ/