লঞ্চগুলো অতিরিক্ত যাত্রীবহন করে চাঁদপুর ঘাটে ভীড়ছে

ছবি: ফোকাস মোহনা.কম।

চাঁদপুর:  আরমাত্র একদিন পর পবিত্র ঈদুল আযহা। নিজ গন্তেব্যে ছুটছে মানুষ। তবে যানবাহনে আসার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছে নিজেই। অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে বাহনে উঠছে। এমন চিত্র দেখাগেছে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে। সদরঘাট থেকে চাঁদপুরগামী প্রত্যেকটি লঞ্চ দুই থেকে তিনগুন যাত্রী নিয়ে চাঁদপুরে এসে পৌঁছাচ্ছে।

শুক্রবার (৮ জুলাই) দুপুরে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখাযায় ঢাকা থেকে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ঘাটে বিড়েছে এমভি মিতালী-৭ এবং যাত্রী নামানোর জন্য অপেক্ষায় এমভি আবএ জম জম-৩। এই দু’টি লঞ্চেই কমপক্ষে ১৫শ’ থেকে ১৬শ’ যাত্রী বহন করে নিয়ে আসে।

এমভি মিতালীর যাত্রী ফরিদগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া গ্রামের রাসেল শেখ বলেন, লঞ্চঘাটে এসে অপেক্ষা করা কষ্টদায়ক। সমানে যে লঞ্চ পাওয়াগেছে সেটিতেই উঠেছি। পুরো ৩ঘন্টা দাঁড়িয়ে ছিলাম। বসারমত কোন যায়গা পাইনি।

একই উপজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের যাত্রী আব্দুর রহমান ও সোলায়মান বলেন, লঞ্চে চলাচল আরামদায়ক হওয়ার কারণে ঢাকা-চাঁদপুর লঞ্চে লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীর যাত্রীও উঠে। স্বাভাবিকভাবে যাত্রী সংখ্যা বেড়ে যায়। যে কারণে নিয়মিত যাত্রীদের ঈদের সময় বেশী কষ্ট হয়। তবে ঝুঁকি না নিয়ে পরের লঞ্চেও আসা সম্ভব। কিন্তু কে মানে কার কথা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনেই লঞ্চগুলো অতিরিক্ত যাত্রী নিয় সদরঘাট থেকে ছাড়ছে।

চাঁদুর ঘাটের লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি বিপ্লব সরকার বলেন, ঈদ উপলক্ষে সর্বশেষ চাঁদপুর প্রশাসনের সমন্বয় কমিটির সভায় বলেছি কোন লঞ্চের টপ ছাদে যেন যাত্রী বহন না করে। লঞ্চের মধ্যে যাত্রী নিলে সমস্যা হয় না। কিন্তু ছাদে যাত্রী নিলে লঞ্চ স্বাভাবিক থাকে না। যে কোন সময় দুর্ঘটনা হতে পারে। অতিরিক্ত যাত্রী বহনের বিষয়টি সদরঘাট বন্দর সমন্বয় কমিটি এবং মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষণ কমিটি মনিটরিং করবে। অতিরিক্ত যাত্রী বহন করার কথা না। প্রয়োজনে স্পেশাল লঞ্চের ব্যবস্থা করবে।

চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা একেএম কায়সারুল ইসলাম বলেন, চাঁদপুর লঞ্চঘাটে ব্যবস্থাপনা খুবই চমৎকার। যাত্রীদেরকে নিরাপদে বাড়ীতে পৌঁছানোর জন্য আমরা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছি। আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস কর্মী ও স্কাউট সদস্যরা কাজ করছেন। এখন পর্যন্ত চাঁদপুর-ঢাকা রুটে কোন সমস্যা নেই। অতিরিক্ত যাত্রীর বিষয়টি লঞ্চ কর্তৃপক্ষের পাশপাশি যাত্রীদের মন মানসিকতার বিষয় জড়িত। যাত্রীরাও অনেক সময় সহযোগিতা করতে চায় না। যাত্রীরা হুড়াহুড়ি করে লঞ্চে উঠে এবং নামে। একটি কঠিন পরিস্থিতির সৃষ্টি করে।

তিনি বলেন, চাঁদপুর-ঢাকা রুটে পর্যাপ্ত লঞ্চ আছে। তবে চাঁদপুর থেকে দক্ষিণাঞ্চলগামী লঞ্চের সংখ্যা কম। যার জন্য আমরা স্পেশাল লঞ্চের ব্যবস্থা রেখেছি। বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে ৫টি স্পেশাল লঞ্চ চাঁদপুর থেকে ছেড়েছে এবং আজকে আরো ৬টির ব্যবস্থা রেখেছি। আমরা যাত্রীদের নিরাপত্তা ও নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য সহযোগিতা কামনা করছি।

ফম/এমএমএ/

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | ফোকাস মোহনা.কম