রামপুর মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবু জাফর মাঈনুদ্দিনের ইন্তেকাল

আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত ইসলামী ফ্রন্ট নেতা

আবু জাফর মোঃ মাঈনুদ্দিন। ছবি: সংগ্রহীত।

চাঁদপুর: আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত চাঁদপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রেসিডিয়াম সদস্য, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা চাঁদপুর জেলা শাখার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, সদর উপজেলার রামপুর আদর্শ আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আলহাজ্ব আবু জাফর মোঃ মাঈনুদ্দিন (৫৬) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না-লিল্লাহ ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

সোমবার (২০ জানুয়ারি ) দুপুর দেড়টার দিকে তিনি চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

মঙ্গলবার সকাল ৯টায় তাঁর নিজ বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নস্থ রামপুর গ্রামের পীর বাড়ির সামনে রামপুর মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। জানাজার পর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

এর আগে বাদ এশা চাঁদপুর শহরের বাহের খলিশাডুলী কাদেরিয়া চিশতিয়া তাহেরিয়া সুন্নীয়া মাদ্রাসা মাঠে মরহুমের প্রথম জানাজা  অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত, ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা, যুবসেনা, গাউছিয়া কমিটিসহ বিভিন্ন তরিকরপন্থী সংগঠন এবং বিভিন্ন মাদ্রাসার অসংখ্য ওলামায়ে কেরাম ও সিলিসিলায়ে কাদেরিয়া আলিয়া সিরিকোট দরবার শরীফের অসংখ্য মুরিদ অংশ নেন।

বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান জননেতা মাওলানা এমএ মতিন, মহাসচিব সউম আবদুস সামাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডঃ আবু নাছের তালুকদার, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সচিব অ্যাডঃ ইসলাম উদ্দিন দুলাল, প্রচার সচিব মাস্টার আবুল হোসেন, প্রকাশনা সচিব, সৈয়দ আবু আজমসহ ইসলামী ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় অনেক নেতৃবৃন্দ এবং জেলা সভাপতি অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ হুমায়ুন কবির, জেলা গাউছিয়া কমিটির সভাপতি অধ্যাপক শাহজামাল তালুকদার, যুবসেনার জেলা সভাপতি অধ্যাপক বজলুর রশিদ সোহেল, সাধারণ সম্পাদক নবাব খান, ছাত্রসেনার জেলা সভাপতি কামরুল হাসান বাবু, সাধারণ সম্পাদক হাফেজ শাহাদাত হোসেন জাহিদসহ অসংখ্য ওলামায়ে কেরাম জানাজায় অংশ নেন।

জানা যায়, অধ্যক্ষ আবু জাফর মোঃ মাঈনুদ্দিন সোমবার দুপুরে নিজ মাদ্রাসায় কর্মস্থলে বুকে ব্যথা অনুভব করেন। ব্যথা বাড়তে থাকায় তাঁকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালে নেয়ার পর কার্ডিওলজি বিভাগের চিকিৎসক তাঁকে পরীক্ষা করে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা নেয়ার পরামর্শ দেন। ঢাকা নেয়ার প্রস্তুতিকালেই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন মেয়ে, অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী, গুণগ্রাহী, শুভাকাক্সক্ষী এবং আত্মীয় স্বজন রেখে যান। তাঁর মৃত্যুতে রামপুর ইউনিয়ন এবং সুন্নী অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে আসে।

ফম/এমএমএ/

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | ফোকাস মোহনা.কম