
চাঁদপুর : সারাদেশের মত চাঁদপুরেও শীতের তীব্রতায় সাধারণ মানুষ জুবুথুবু হয়ে গেছে। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষদের শীতের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলো আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু উল্টো চিত্র দেখা গেছে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের। আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে শীতবস্ত্র বিতরণ না করে নিম্নআয়ের মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে শীতবস্ত্র।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) দিনগত সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন এলাকায় খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষের দরজায় দরজায় গিয়ে নিজ হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।
এসময় শহরের বেঁদে পল্লী, পুরানবাজারের হরিসভা, রনাগোয়ালসহ আশপাশের এলাকায় ডিসি নিজে গিয়ে শীতবস্ত্র অসহায়দের হাতে তুলে দেন। অনেকেই এমন চিত্র দেখে হতবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলেন। আবার অনেকেই ডিসির প্রশংসা করতে লাগলেন।
এসময় কথা হয় উপকারভোগী একজন বৃদ্ধ মায়ের সাথে। তিনি বলেন, এমনভাবে কোন ডিসিকে শীতবস্ত্র নিয়ে মানুষের বাসায় যেতে দেখি নাই। এমনভাবে নিয়ে আসবে শীতবস্ত্র কখনো চিন্তাও করি নাই।
কথা হয় আরেক উপকারভোগী বৃদ্ধ মো. রহিমের সাথে। তিনি বলেন, ডিসি এমন করে শীতবস্ত্র দেয়াতে আমরা পেয়েছি, নতুবা টিকিট করে দিলে আমরা কখনো টিকিটও পেতাম না। এরকম করেই দেয়া উচিত, তাহলেই আমরা গরীবরা আমাতের নায্যটা পাবো।
এসময় জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, আপনারা জানেন যে সারাদেশেই শৈত্য প্রবাহ চলছে। সরকারের পক্ষ থেকে আমরা শীতার্ত মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র রযেছে। আমরা ইতিমধ্যে প্রতিটা ইউনিয়ন পর্যায়েও শীতবস্ত্র বিতরণ করছি। তারই অংশ হিসেব আজকে আমরা শীতবস্ত্র নিয়ে অসহায় শীতার্তদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি।
জেলা প্রশাসক আরো জানান, আমরা ইচ্ছা করলেই আনুষ্ঠানিকতা করে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম করতে পারতাম। কিন্তু আমার কাছে মনে হলো যেন আনুষ্ঠানিকতা না করে যদি নিজের হাতে অসহায়দের বাসায় এসে দিতে পারি তাহলেই হয়তো যার প্রয়োজন সেই পাবে।
এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোস্তাফিজুর রহমান, সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. আল ইমরান খান, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আসাদুজ্জামান সরকারসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
ফম/এমএমএ/