শাহরাস্তি (চাঁদপুর): ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের চেয়ারম্যান পীরে তরিকত আল্লামা ছৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী বলেছেন- স্বাধীনতার ৫২ বছর অতিক্রান্ত হলেও এদেশে এখনও একটি টেকসই নির্বাচনী ব্যবস্থা গড়ে উঠে নি। যা নিতান্তই লজ্জাজনক। নির্বাচনের ক্ষেত্রে তত্ত্বাবধায়ক ফর্মুলা একটি আপদকালীন ব্যবস্থাপনা। একমাত্র প্রভাবমুক্ত একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশনই অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে পারে। দেশের অভ্যন্তরীন রাজনীতিতে বিদেশিদের দৌড়ঝাপ তথা অযাচিত হস্তক্ষেপ কুটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত। বিদেশিরা কখনও ক্ষমতা আনয়নের অবলম্বন হতে পারে না মন্তব্য করে তিনি বলেন- স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি জামাআত ও হেফাজতিরা এখন কৌশল পরিবর্তন করে রাষ্ট্রীয় নীতি নির্ধারক হতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এদের অপকৌশলের বিরুদ্ধে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। অর্থ পাচারকারীরা দেশ-জাতির শত্রু, এদের চিহ্নিত পূর্বক তাদের নাম জনসম্মুখে প্রকাশ করে পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া নিত্যপণ্যের মূল্য স্বাভাবিক পর্যায়ে আনতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ইতিবাচক ও বলিষ্ঠ পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। ফিলিস্তিনে দখলদার ইসরাইলের নৃশংসতা-নিষ্ঠুরতায় গোটা ফিলিস্তিন এখন বধ্যভূমিতে পরিণত হয়েছে। সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠীর প্রত্যক্ষ পৃষ্টপোষকতায় ইসরাইলী বাহিনী গাজায় নির্বিচারে গণহত্যা চালাচ্ছে। গাজায় এখন মানবিক বিপর্যয় ঘটেছে। এহেন অবস্থার পরিবর্তন না হলে গোটা মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিত্বই সংকটাপন্ন হয়ে পড়বে। ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বাধীনতা এবং মসজিদুল আকসার দখলমুক্তিই একমাত্র এহেন নেতিবাচক অবস্থার অবসান ঘটাতে পারে। তিনি বিপন্ন ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে ইতিবাচক সহযোগিতার হস্ত প্রসারিত করে এগিয়ে আসার জন্য বিশ্বের সকল মুসলিম রাষ্ট্র সমূহের প্রতি উদাত্ত আহবান জানিয়েছেন।
ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ শাহরাস্তি উপজেলার আয়োজনে শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় মেহের কালিবাড়ী মাঠে স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে অনুষ্ঠিত জনসভায় তিনি উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
দলের শাহরাস্তি উপজেলা সভাপতি মাস্টার হেলাল আহমদেত সভাপতিত্বে এতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় মহাসচিব জাতীয় নেতা শায়খুল হাদিস অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর।
জনসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, দলের যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা মোশারফ হোসেন হেলালী, স. ম হামেদ, কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এম. ইব্রাহীম আখতারী, যুগ্ম মহাসচিব আলহাজ্ব এইচ.এম. মুজিবুল হক শাকুর, দপ্তর সম্পাদক মাওলানা এ. এম. মঈনউদ্দীন চৌধুরী হালিম, ইসলামিক যুবফ্রন্ট বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় আহবায়ক- আল্লামা মুহাম্মদ মনির হোসাইন, ইসলামী ছাত্রসেনা’র সভাপতি ছাত্রনেতা এডভোকেট মুহাম্মদ ফরিদ মজুমদার |
এডভোকেট মুহাম্মদ ইমদাদুল হক পাটওয়ারী ও মাওলানা মুহাম্মদ ইউসুফ হাসান মাহমুদী’র যৌথ সঞ্চালনায় জনসভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- অধ্যক্ষ আল্লামা মুহাম্মদ মফিজুল ইসলাম, আল্লামা মুফতি মুহাম্মদ আবুল হাশেম মিয়াজি, মাষ্টার মুহাম্মদ মোহতাসিম বিল্লাহ, মাষ্টার মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, মুহাম্মদ জাকির হোসেন মিয়াজি, মুহাম্মদ হাসান মজুমদার, মাওলানা মুহাম্মদ আলী নকশবন্দি, সাংবাদিক মুহাম্মদ মনজুর আলম পাটওয়ারী, মাওলানা মুহাম্মদ বদিউজ্জামান, ছাত্রনেতা মুহাম্মদ নেয়ামুল ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম সাইফি, י, মো: মোয়াজ্জেম হোসেন, মো: মমিনুল ইসলাম রুবেল, মমতাজ আরেফিন হেলালী, মো: দেলোয়ার হোসেন প্রমূখ |
ফম/এমএমএ/