মতলব উত্তর (চাঁদপুর): মতলব উত্তর উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন নিষিদ্ধ সময়ে মা ইলিশ রক্ষায় সচেতনতামুলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১১ অক্টোবর )বিকালে এখলাছপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মনোয়ারা বেগমের সভাপতিত্বে ও মতলব উত্তর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আরাফাত আল-আমিনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান প্রধান, এখলাছপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রেহান উদ্দিন নেতা, এখলাছপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুফিজুল মুন্না ঢালী, মোহনপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আরোজ আলী প্রমুখ।
অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সহকারি মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ রাশেদুজ্জামান, উপজেলা মৎস্যজীবি লীগের সভাপতি ওমর আলী, আওয়ামী লীগ নেতা আমান উল্লাহ মাস্টার, উপজেলা কৃষকলীগের সদস্য মোজাম্মেল হক, চাঁদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক সুজন ভুইয়া, আওয়ামী লীগ নেতা মোশারফ হোসেন, জেলে প্রতিনিধি মোঃ ইমাম হোসেন সহ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও জেলে প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার সহায়ক হিসেবে নিষিদ্ধ সময়ে মা ইলিশ রক্ষায় আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। মৎস্য আইন বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও জনপ্রনিধিদেরও সোচ্চার হতে হবে। তিনি বলেন, দেশে মৎস্য চাহিদা মিটিয়ে এখন বিদেশেও ইলিশ রপ্তান্তি হচ্ছে। এটা সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের কারণে। তাই আগামী দিনে আবারো আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে হবে।
এমএ কুদ্দুস আরো বলেন, শেখ হাসিনা আমাদের ডিজিটাল দেশ দিয়েছেন। সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা দিয়েছেন। তেমনি জেলেদেরকেও সুযোগ সুবিধা দিচ্ছেন। নিষিদ্ধ সময়ে ইলিশ আহরণ না করার জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে বিভিন্ন উপকরণ ও খাদ্য সহায়তা দিচ্ছেন। তাই আমি মনে করি সরকারি আইন মেনে কাজ করলে আমাদের উন্নতি হবে। একেকটি মা ইলিশ ২৫ লক্ষাধিক ডিম দেয়। তাই ইলিশ সম্পদ বাঁচিয়ে রাখতে নিষিদ্ধ সময়ে নদীতে জাল ফেলা যাবে না। ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন মা ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ বিষয়ে সচেতন থাকার আহ্বান করেন এমএ কুদ্দুস।
ফম/এমএমএ/