মেধাবী তৈরীতে শিক্ষকদের কাজ করতে হবে : মোতাহার হোসেন পাটওয়ারী

আইফার ‘ইসলামি সাহিত্য-সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরষ্কার প্রদান

ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর): সম্পন্ন হলো আম্বিয়া-ইউনুছ ফাউন্ডেশনের ‘ইসলামি সাহিত্য-সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা- ২০২২’র পুরস্কার বিতরণ। অর্ধশত বিজয়ীর হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা।

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে আম্বিয়া-ইউনুছ ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত ‘ইসলামী সাহিত্য-সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা-২০২২’র পুরস্কার প্রদান সম্পন্ন হয়েছে।

এ উপলক্ষে শনিবার ( ২৩ এপ্রিল) সকালে আইফা মিলনায়তনে পুরস্কার পূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, শিল্পপতি, পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান, আম্বিয়া-ইউনুছ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি সিআইপি মো. মোতাহার হোসেন পাটওয়ারী।

তিনি বক্তব্যে  বলেন, ‘একটি শিক্ষিত সমাজ ছাড়া দেশ ও জাতি চলতে পারে না। আগামীর শিক্ষিত সমাজ গড়তে বর্তমান প্রজন্মকে সেভাবে গড়তে হবে। কারণ আপনার আমার সাথে একমত হবেন যে, বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা নিম্মগামী। এখানকার আলোচকদের আলোচনায়ও তাই প্রতিয়মান হয়েছে। একটি মজবুত এবং টেকসই রাষ্ট্র গঠন ও পরিচালনার জন্য মেধাবীদরে বিকল্প নেই। আম্বিয়া-ইউনুছ ফাউন্ডেশন শুধু শিক্ষা নিয়েই কাজ করছেন না। স্বাস্থ্য- চিকিৎসা ও মানবিক সেবা নিয়েও কাজ করে যাচ্ছে। এটা ঠিক বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে আমাদের বার্ষিক শিক্ষাবৃত্তিটি বন্ধ রয়েছে।

আম্বিয়া-ইউনুছ ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম অর্গানাইজার নূরুল ইসলাম ফরহাদের সঞ্চালনায়,  পাঠাগার কমিটির সভাপতি মকবুল আহাম্মেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফরিদগঞ্জ এ.আর পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল আমিন কাজল, বদরপুর সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার ভাইস প্রেন্সিপাল মো.মফিজুল ইসলাম, আম্বিয়া-ইউনুছ ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা মো.মাহাবুবুল আলম, সাংবাদিক আবু হেনা মোস্তফা কামাল। এসময় কর্তব্যরত শিক্ষকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ফরিদগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোহাম্মদ হোসেন, বিচারকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হাফেজ আবুল কাসেম প্রমুখ।

সভাপতি মকবুল আহাম্মেদের স্বাগত বক্তব্যের পূর্বে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন, বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী, ক্বারী ও হাফেজ নূরে আলম সাইফ।

অনুষ্ঠানের মাঝে মাঝে সংগীত ও আবৃত্তি পরিবেশন করেন ছিদ্দিকুর রহমান রনি, তাসনিমা হোসেন, তাসনিমা হোসাইন নিজিয়া।

পুরস্কার প্রধান অনুষ্ঠানে আম্বিয়া- ইউনুছ ফাউন্ডেশন পাঠাগারে উপস্থিতির ভিত্তিতে ৬ জনকে মাস সেরা পাঠকের পুরস্কার প্রধান করা হয়। সেরা পাঠক নির্বাচিত হয়- মো. জাহিদ হাসান, ফাবিহা জাহান, কাউছার হোসাইন, হুসাইন মিলন, মো. সাহেদ ও মো. তারেকুর রহমান তারু।

ইসলামি সাহিত্য- সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার বিজয়ীরা হলো, কোরআন তেলাওয়াতে ‘ক’ বিভাগে প্রথম ইউসুফ- আল- ইফাজ, দ্বিতীয় সাকিবুর রহমান, তৃতীয় মোহাম্মদ উসামা বিন মমিন। ‘খ’ বিভাগে প্রথম আবদুল্লাহ আল মুনতাসির, ২য় মো.জিহাদুল ইসলাম, ৩য় আসমা সুলতানা। ‘গ’ বিভাগে ১ম সিয়াম, ২য় ফাহিমা আক্তার, তৃতীয় মো. তুষার এমরান।

আবৃত্তিতে ‘ক’ বিভাগে ১ম সাফোয়ান বিন রহমান, ২য় তাওহিদ তালুকদার ও উম্মে কাইস, তৃতীয় ইমরোজ রহমান। ‘খ’ বিভাগে ১ম কাজী আফসারা ইমামা. ২য় জুনায়েদ রহমান, ৩য় আব্দুল্লাহ সাকিন আমানত। ‘গ’ বিভাগে ১ম তাসমিয়া হোসেন, ২য় রওশন ইসলাম তানিয়া, ৩য় ইন্দ্রিলা দাস প্রভা, ৪র্থ তাফছি আজাদ। ‘ঘ’ বিভাগে ১ম তামান্না ইসলাম ও শামিম শেখ, ২য় কুলসুমা আক্তার, ৩য় মহিমা আক্তার। ‘ঙ’ বিভাগে ১ম মো.তাসনিফ ইমন পাটওয়ারী, ২য় মো. মেহেরাজ হাসান।

হামদ/নাত প্রতিযোগিতায় ‘ক’ বিভাগে ১ম তাসনিম সাবা, ২য় রিছান মিজি, ৩য় ইমরোজ রহমান। ‘খ’ বিভাগে ১ম ইউসুফ আল ইফাজ, ২য় সাকিবুর রহমান, ৩য় জুনায়েদ রহমান ও নুরে জান্নাত মিমি। ‘গ’ বিভাগে তাসনিমা হোসাইন নিজিয়া, ২য় তাসমিয়া হোসাইন, ৩য় হালিমা রহমান। ‘ঘ’ বিভাগে ১ম আবদুল্লাহ আল মুনতাসির, ২য় মু.ইমরান খান মাহাবুব, ৩য় আখি আক্তার ও রাজু বেপারী। ‘ঙ’ বিভাগে ১ম ছিদ্দিকুর রহমান রনি, ২য় মো. মেহেরাজ হাসান, ৩য় আ.রহমান মিজি।

ফম/এমএমএ/

মো. বারাকাত উল্লাহ | ফোকাস মোহনা.কম