
চাঁদপুর: ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প এবং রাজস্ব খাতের আওতায় চাঁদপুরের মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, সদর ও হাইমচর উপজেলায় বিশে^ কম্বিং অপারেশন এর তিনটি পর্যায়ে ৫০লাখ মিটার অবৈধ কারেন্টজাল, ২৫টি বেহুন্দি জাল ও ১৫২টি অন্যান্য জাল জব্দ করা হয়। জেলা ও উপজেলা মৎস্য বিভাগ, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও নৌপুলিশ বিশেষ এই অভিযান পরিচালনা করে।
শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান লিখিত বিবরণে এই তথ্য জানান।
প্রাপ্ত তথ্যে জানাগেছে, মেঘনা নদীতে তিন পর্যায়ের এই বিশেষ কম্বিং অপারেশনে ৪৩টি মোবাইল কোর্ট, ১৬০টি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এসব অভিযানে জাটকা জব্দ হয়েছে ৬.০৫৫৩ মেট্টিক টন এবং অন্যান্য মাছ জব্দ হয়েছে ০.১৫০ মেট্টিক টন। মামলা হয়েছে একটি এবং জরিমানা আদায় হয়েছে ৭০হাজার টাকা।
অভিযানের মধ্যে চাঁদপুর সদরে ২০টি মশারি জাল, পাইজাল ৯২টি, বেড় জাল ৬টি, বেহুন্দি জাল ২৪টি জব্দ হয়। উচ্ছেদ করা হয় ২০টি জাগ। মতলব উত্তর উপজেলায় চায়না রিং চাই ৫টি, মশারি জাল ৫টি, বেহুন্দি জাল ১টি। জাগ উচ্ছেদ করা হয় ২০টি। মতলব দক্ষিণ উপজেলায় জাগ উচ্ছেদ হয়েছে ২১টি, জব্দ হয়েছে ৪টি ভেসাল জাল এবং চায়না দুয়ারি ১০টি জাল। এছাড়া হাইমচর উপজেলায় চায়না দুয়ারি জাল জব্দ হয়েছে ১০টি।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় ৪-১০ জানুয়ারি প্রথম পর্যায়, ১৯-২৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় পর্যায় এবং ৩-৯ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় পর্যায়ে বিশেষ কম্বিং অপারেশন পরিচালনা করা হয়। জাতীয় সম্পদ ইলিশসহ মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। অভিযানগুলো সফল করার জন্য জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ও নৌ পুলিশ সার্বিক সহযোগিতা করেছে।
তিনি আরো বলেন, সর্বশেষ আমাদের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ মেঘনা পাড়ের জেলেদের সাথে মতবিনিময় করেছেন। যাতে করে জাটকার পাশাপাশি রেনু পোনা মাছগুলো রক্ষা করা যায়। একই সাথে জেলে ও জেলে নেতাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনেছেন এবং বিবেচনায় নিয়েছেন।
ফম/এমএমএ/