চাঁদপুর : চাঁদপুরের মেঘনায় মোহনায় মাষ্টার আরাফাত নামের মালবাহী ট্রলার ডুবে মো. দেলোয়ার (৩৮) নামে মাঝি নিখোঁজ রয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মেঘনা মোহনার রনাগোয়াল নামক স্থানে ট্রলারটি মালামাল ও ৪জনসহ ডুবে যায়। ট্রলারে থাকা ৩জনকে নৌ পুলিশ উদ্ধার করলেও সন্ধ্যা পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে খোঁজ মিলেনি মাঝি দেলোয়ারের।
দেলোয়ার শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানার উত্তর তারাবুনিয়া মদন ঢালী কান্দির আলী আহম্মদ প্রধানিয়ার ছেলে।
উদ্ধার বাকী ৩জন হলেন- ট্রলার শ্রমিক-শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা থানার এলাকার মিজান সৈয়াল (৪০), মো. জলিল (৪০) ও মো. হারুনুর রশিদ (৫০)।
উদ্ধার হওয়া ট্রলার শ্রমিক মিজান সৈয়াল বলেন, তারা ঢাকা থেকে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য দ্রব্য ও মুদি মালামাল নিয়ে চাঁদপুরে আসেন। রাতে শহরের ট্রাক ঘাট এলাকায় অবস্থান করেন। ঘোষাইরহাটে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সকালে ট্রাক ঘাট থেকে ডাকাতিয়া নদী হয়ে মেঘনা মোহনায় আসলে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। ঘুর্ণি স্রোতের মধ্যে পড়ে মোহনা থেকে ট্রলারটি ডুবতে ডুবেত রনাগোয়াল নামক স্থান পর্যন্ত চলে যায়। স্থানীয়রা সংবাদ দিলে পুলিশ এসে তাদের ৩জনকে উদ্ধার করে এবং মাঝি দেলোয়ার পানিতে তলিয়ে যায়।
আরেক শ্রমিক জলির জানান, ডুবে যাওয়া ট্রালারে ছিল- নয়ন নামে ব্যবসায়ীর দুই বস্তা পলিথিন, সেলিম নামে ব্যবসায়ীর তৈল সয়াবিন (একড্রাম), আরো ৩ ব্যবসায়ীর মাছের খাদ্য ও পলিথিন ১ বস্তা। ট্রলারের মালিক হচ্ছেন শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা থানার মো. সোবহান মাঝি (৭৫)।
চাঁদপুর নৌ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেদওয়ান ফোকাস মোহনাকে বলেন, সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল এলাকা থেকে ৩জনকে উদ্ধার করি এবং দেলোয়ার নামে মাঝি সন্ধ্যা পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে। ট্রলারটি পানিতে তলিয়ে যায়। উদ্ধার হওয়া ৩ ট্রলার শ্রমিক এখন থানায় আছে। নিখোঁজ মাঝির পরিবারের লোকদেরকে খবর দেয়া হয়েছে। তারা এখনো চাঁদপুরে এসে পৌঁছায়নি।
ফম/এমএমএ/