মেঘনার রূপালী ইলিশ প্রতি হালি ৩ হাজার

চাঁদপুর সদর উপজেলার হানারচর ইউনিয়নের হরিনা ইলিশের পাইকারী আড়তে বেচাকেনা। ছবি: ফোকাস মোহনা.কম

চাঁদপুর : জাটকা রক্ষার নিষেধাজ্ঞা শেষে পদ্মা-মেঘনা নদীর ইলিশ আমদানি শুরু হয়েছে। তবে সংখ্যা খুবই কম। মেঘনা উপকূলীয় মৎস্য আড়তগুলোতে ইলিশ-বেচাকেনা শুরু হয়েছে। পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে দেশীয় প্রজাতির অন্যান্য মাছ। ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের একহালি রূপালী ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার থেকে ৩২০০টাকা। এর চাইতে বড় সাইজের ইলিশ খুবই কম।

বুধবার (৩ মে) সকাল ৭টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত সদর উপজেলার হরিণা ফেরিঘাট ও আখনের হাট মৎস্য আড়তে পাইকারী ইলিশ বিক্রির বাস্তব চিত্র দেখাগেছে। জেলেরা নদী থেকে ইলিশ ধরে এনে সরাসরি এসব আড়তে বিক্রি করছেন। বরফ ছাড়াই এসব ইলিশ সরাসরি বিক্রি হয়।

এই দুই মাছঘাটে সকাল থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলেদের আহরণকৃত মাছ বিক্রি হয়। শহরের খুচরা বিক্রেতা এসব ঘাট থেকে ইলিশসহ অনান্য প্রজাতির মাছ ক্রয় করেন এবং চাঁদপুরের প্রধান মৎস্য আড়তে এখান থেকে বরফ ছাড়া ইলিশ সরবরাহ করেন কয়েকজন ব্যবসায়ী। তারা জেলের পাওয়া স্বল্প সংখ্যক ইলিশ একত্রিত করে চালান করেন।

হরিণা মাছঘাটে ইলিশ বিক্রি করতে আসা জেলে জহিরুল ইসলাম জানান, তারা ৬জন রাত ১০টায় পদ্মা-মেঘনায় ইলিশ ধরতে নেমেছেন। সকাল ৭টায় আড়তে এসেছেন। ছোট বড় মিলিয়ে যে কয়টি ইলিশ পেয়েছেন তা বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৮০০টাকা। তার মতে নদীতে এখন ইলিশ খুবই কম।

এই ঘাটের প্রবীণ আড়তদার মো. সিরাজুল ইসলাম সৈয়াল জানান, জাটকার অভিযানের পর ১ মে খুবই কম মাছ এসেছে। আমাদের ঘাটে ১৪টি আড়ৎ। ২ মে মঙ্গলবার সারাদিনে ইলিশের আমদানি হয়েছে দেড় থেকে দুই মণ। তবে আজকে সকালেই কমপক্ষে দুই মণ ইলিশ পাইকারি বিক্রি হয়েছে। তবে সাইজ ছোট। বড় সাইজের পাওয়াগেলেও প্রতি হালি বিক্রি হয় ৩ থেকে সাড়ে হাজার টাকা। সর্বোচ্চ দেড় কেজি ওজনের ইলিশ পেয়েছে জেলেরা। প্রতি কেজি কমপক্ষে ২ হাজার থেকে ২৫০০০টাকা বিক্রি হচ্ছে।

আখনের হাটের জেলে আলমগীর জানান, আমাদের ঘাটে ইলিশ খুবই কম আসছে। ২শ’ থেকে ৪শ’ গ্রামের ইলিশ প্রতি হালি ৫শ’ থেকে ৮শ’ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য বনিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী শবে বরাত সরকার জানান, গত দুই দিন চাঁদপুর মাছঘাটে দক্ষিণাঞ্চলের ইলিশ আমদানি হচ্ছে। ৩শ’ থেকে ৪শ’ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা। চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার ইলিশ খুবই কম।

চাঁদপুরের জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম জানান, নদীতে এখন ইলিশ একটু কম। কারণ জাটকাগুলো পদ্মা-মেঘনায় বিচরণ শেষে সাগরের দিকে চলে গেছে। সাগর এলাকায় এখন ইলিশ বেশী পাওয়া যাচ্ছে। বর্ষার শুরুতে অর্থাৎ জুন-জুলাই মাসে পদ্মা-মেঘনায়ও ইলিশ পাবে জেলেরা।
ফম/এমএমএ/

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | ফোকাস মোহনা.কম