মেঘনার পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই

হাইমচর উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের চর এলাকা। ছবি সম্প্রতি তোলা। ছবি: ফোক মোহনা.কম।

চাঁদপুর: সাধারণত জুন মাস থেকে নদীতে পানি বাড়তে থাকে। এখন আগষ্ট এবং বাংলা ভাদ্র মাস। এসব কারণে মেঘনা নদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা নদীর প্রশস্ততা বেশী থাকার কারণে পানির উচ্চতা কিছুটা সময়ের জন্য বাড়লে তা স্থায়ী হয় না। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে-মেঘনার পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই। আজকের সর্বোচ্চ পানির উচ্চতা ছিল ৩.৯৮ সেন্টিমিটার।

জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত প্রায় ৭০ কিলোমিটার এলাকা হচ্ছে মেঘনা নদী এলাকা। এই দুরুত্বের মধ্যে নদীর পশ্চিমাঞ্চলে চরগুলোতে বর্ষা এলেই পানি বেড়ে যায় এবং দৃশ্যমান হয়। তবে মেঘনার পূর্বাঞ্চলে সব সময় পানি কম থাকে।

চাঁদপুর শহরের পুরাণ বাজার এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানান, নদীতে পানি বেড়েছে, তবে রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ার মত বাড়েনি।

চাঁদপুর সদরের সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান জানান, পানি খুব বেড়েছে এমন সংবাদ আমাদের কাছে এখনো আসিন।

হাইমচর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান জানান, আমি মেঘনা উপকূলীয় জেলে ও চরভৈরবী মৎস্য আড়ৎদারদের সাথে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছে পানি বেড়েছে তবে বিপদসীমার ওপরে উঠেনি।

পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুর শহর সংরক্ষণ প্রকল্পের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ওমর ফারুক জানান, মেঘনা নদীর চাঁদপুর অংশে আজ সকাল সাড়ে ৯টায় পানির সর্বোচ্চ উচ্চতা ছিল ৩.৯৮ সেন্টিমিটার। আর সর্বনিম্ন ছিল ২.৭০ সেন্টিমিটার। এখনও বিপদসীমা থেকে ২ সেন্টিমিটার নীচে রয়েছে। পানির বিপদজনক উচ্চতা হচ্ছে ৪.০০ মিটার।
ফম/এমএমএ/

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | ফোকাস মোহনা.কম