
চাঁদপুর: চাঁদপুর ও মুন্সিগঞ্জ জেলার সীমান্ত এলাকা মেঘনা নদীতে দুগ্রুপের গোলাগুলিতে জোড়া খুনের ঘটনায় গুলিবিদ্ধের নামে মামলা হওয়ার বিষয়টি তদন্ত নেমেছে নৌ-পুলিশ হেডকোয়ার্টার। করা হয়েছে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটিও।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি কুসুম দেওয়ানের নির্দেশে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
জানা গেছে, সম্প্রতি গণমাধ্যমে মুন্সীগঞ্জ-চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে গোলাম কিবরিয়া মিজি ও কানা জহির বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলিতে দুইজন নিহত ও একজন গুলিবিদ্ধের ঘটনায় অভিযুক্তের নাম বাদ দিয়ে গুলিবিদ্ধের নামে মামলা দেয়ার বিষয়টি নজরে আসেন নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি কুসুম দেওয়ানের। এরপর তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেন নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি।
ওই তদন্ত কমিটিতে নৌ-পুলিশ হেডকোয়ার্টারের অতিরিক্ত ডিআইজি (দক্ষিণ বিভাগ) মো. আব্দুল ওয়ারীশকে প্রধান করে নৌ-পুলিশ সুপার ক্রাইম এন্ড অপারেশন মুক্ত ধর ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন-পুলিশ সুপার পদোন্নতি প্রাপ্ত) মির্জা তারেক আহমেদ বেগকে সদস্য করা হয়। এই কমিটি আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে অভিযোগের বিষটির তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা রয়েছে।
কমিটির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, অভিযুক্তদের নাম বাদ দিয়ে গুলিবিদ্ধ নামে মামলার বিষয়টি সঠিকভাবে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়া ও অভিযুক্তদের রক্ষার্থে পুলিশের কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কি না এবং অবৈধ বালু উত্তোলনের সাথে নৌ-পুলিশের কোনো কর্মকর্তা জড়িত থাকার বিষয়টিও এই তদন্তের মধ্যে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে তদন্তকারী কমিটির প্রধান নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি (দক্ষিন বিভাগ) আব্দুল ওয়ারীশ বলেন, এই তদন্তে মামলার দুটি অংশ রয়েছে। প্রথমটি যেটা আমরা করছি, সেটা হচ্ছে বিভাগীয় অংশ। এই ঘটনার সাথে নৌ-পুলিশ কিংবা অন্য কোনো পুলিশের সদস্য জড়িত আছে কীনা, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। দ্বিতীয়ত অপরাধ তদন্ত। যেটা এই মামলার বিষয়ে এখন নৌ-পুলিশ করছে। অর্থাৎ এই হত্যার সাথে কারা জড়িত আছে, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। তবে তদন্তের স্বার্থে অন্য কোনো বাহিনী কাজ করলে ভালো হবে কী না, সেই বিষয়টিও মাথায় রেখে কাজ করছি বলে জানিয়েছে এই কর্মকর্তা।
ফম/এমএমএ/