মেঘনায় এবার ধরা পড়ল বড় সাইজের কাতল

চাঁদপুর : মেঘনা নদীর চাঁদপুর সদর উপজেলার আনন্দবাজার ও রাজরাজেশ্বর চর এলাকায় বড় সাইজের ৪টি কাতল মাছ ধরা পড়েছে জেলেদের জালে। নদীর প্রতিটি কাতল মাছের ওজন প্রায় ৮ থেকে ১০ কেজি। গত কয়েকদিন বড় ধরণের পাঙ্গাস ধরা পড়ার পরে এখন পাচ্ছেন বড় সাইজের কাতল মাছ।

রোববার (৫ নভেম্বর) বেলা সাড়ে এগারোটার সময় চাঁদপুর শহর রক্ষাবাঁধের অদূরে মেঘনা নদীতে তরপুরচন্ডি এলাকার  জেলে ইসমাইলের সুতার জালে একটি কাতল মাছ ধরা পরে। মাছটিকে দুপুর ১২টার দিকে বিক্রির জন্য চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাটে আনলে এক নজর দেখতে ভিড় করে স্থানীয়রা। মেসার্স আবুল খায়ের মৎস্য আড়তে মুহূর্তের মধ্যে নিলাম হয় এবং ৩৫ হাজার টাকা মণ দরে প্রায় ৯ কেজি ওজনের কাতল মাছটি ৮ হাজার টাকায় বিক্রি হয়ে যায়।

ঘাটের আড়তদার ইউসুফ বন্দুকশী জানান, আজ সকালে এই ঘাটের জেলেরা মেঘনা নদীতে ইলিশ ধরার জন্য জাল ফেলেন। তাদের জালে পৃথক ৪টি বড় বড় কাতল মাছ ধরা পড়ে।

জেলে ইসমাইল জানান, নদীতে ২২ দিনের অভিযানের পর তাদের ব্যবহ্নত ইলিশ জালে মাঝে মধ্য পাঙ্গাস,আইর ও রুই-কাতল ও রিডা মাছ ধরা পড়ে। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। চাঁদপুর সদর উপজেলার মেঘনা নদীতে ইলিশের পাশাপাশি বেশ কিছু পাঙ্গাস আইর মাছের পর নদীর কাতল মাছও পাওয়া গেল।

হাজী আবুল খায়ের গাজী মৎস্য আড়তের লোকজন জানান, এসব মাছ ঘাটে আসলে প্রতিযোগিতামূলকভাবে ঘাটের বড় আড়তদারেরা কিনে নেন। স্থানীয়ভাবে এসব মাছের ক্রেতা কম। বিক্রি করতে হলে মাছ কেটে ভাগ করে বিক্রি করতে হয়। এছাড়া ঢাকা বা অন্য কোনো স্থানের বড় ব্যবসায়ী বা শিল্পপতিদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে বিক্রি করা হয়।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান জানান, এ বছর ইলিশ অভিযান সফল হওয়ায় মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন রকম বড় বড় মাছ জেলেদের জালে ধরা পড়ছে। নিষেধাজ্ঞার সময় নদীতে ইলিশসব সব ধরণের মাছ বিচরনের সুযোগ পাওয়ায় জেলেরা সুফল পাচ্ছে।

ফম/এমএমএ/

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | ফোকাস মোহনা.কম