চাঁদপুর: মা ইলিশ রক্ষায় নৌ পুলিশের সফলতা, ২৮ কোটি মিটার কারেন্ট জাল ১২২টি মামলা ৬৩৮ জেলে আটক ও ৩৭০টি নৌকা জব্দ
মা ইলিশ রক্ষায় দেশের ৬টি অভয়াশ্রমসহ চাঁদপুরের নৌ-সীমানায় ইলিশ রক্ষা অভিযান অব্যাহত ছিল।
সোমবার ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত রাত ১২ টা পর্যন্ত নৌ পুলিশের ২২ দিনব্যাপি চলেছে জাতীয় সম্পদ ইলিশ রক্ষার এ অভিযান।
মা ইলিশ রক্ষায় নৌ পুলিশ অভয়াশ্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছেন। ২২ দিনের অভিযানে নৌ পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান এর নেতৃত্বে ১২ টি নৌ ফাঁড়ি পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে ২৮ কোটি মিটার কারেন্ট জাল ১২২টি মামলা ৬৩৮ জেলে আটক ও ৩৭০টি নৌকা জব্দ করেছে।
এছাড়া পদ্মা-মেঘনার জেলা-উপজেলা প্রশাসন,কোস্ট গার্ড,নৌ-পুলিশ জেলা মৎস্য ও উপজেলা মৎস্য যৌথ বা এককভাবে এ পর্যন্ত ২৬৫ টি অভিযান ও ৮৯টি মোবাইল কোর্ট মোট ৩৫৪টি পরিচালনা করা হয়েছে ।
নৌ পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান জানান, প্রজনন মৌসুম ২২ দিন মা ইলিশ রক্ষায় পদ্মা মেঘনা নদীতে যে অভিযান ঘোষণা করা হয়েছে তা বাস্তবায়নে নৌ পুলিশ শতভাগ সফল হয়েছে। পূর্বের চেয়ে এবছর নৌ-পুলিশের বারোটি পুলিশ ফাঁড়ি পৃথক অভিযান চালিয়ে ২৮কোটি মিটার কারেন্ট জাল ১২২টি মামলা ৬৩৮ জেলে আটক ও ৩৭০টি নৌকা জব্দ করেছে। এছাড়া তিনটি স্পিডবোর্ড জব্দ করতে সক্ষম হয়েছে। নৌ পুলিশের সকল সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করেছে। কারেন্ট জালের উপর অভিযান নদীতে সর্বদা অব্যাহত থাকবে।
প্রসঙ্গত,পদ্মা-মেঘনায় ইলিশের নিরাপদ প্রজননের লক্ষ্যে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জাতীয় সম্পদ ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মিঠা পানিতে মা ইলিশকে ডিম ছাড়ার সুযোগ করে দিতেই এ অভিযান শুরু।
ফলে মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচরের চরভৈরবী পর্যন্ত মেঘনা নদীর ৮০ কি.মি এলাকাকে অভয়াশ্রম ঘোষণা করা হয়েছে।
এ সময় ইলিশের আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়,মজুদ ও পরিবহণ করা যাবে না। নিষেধাজ্ঞা থাকলেও অভিযানকালীন সময়ে একশ্রেণির অসাধু মৎস্য শিকারীগণ থেমে নেই। তারা গোপনে নদীতে মাছ ধরে তা বিক্রি করে যাচ্ছে। আর অভিযান সফল করতে কঠোর মনোভাব নিয়ে প্রতিদিনই নদী এবং মৎস্য আড়তে কঠোর অভিযান অব্যাহত রেখেছে টাস্কফোর্স সদস্যরা।
ফম/এমএমএ/