চাঁদপুর: চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় মায়ের জানাজায় দিতে গিয়ে ছেলে ইয়াছিন প্রধান (৬২) নামে কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। রাতে মা ও ছেলের একই সাথে দাফন সম্পন্ন হয়।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়নের নান্দুরকান্দি গ্রামের প্রধানিয়া বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন নিহত ইয়াছিন প্রধানের ছোট ভাই মো. বাবর আরিফ। এ ঘটনায় নান্দুরকান্দি ও আশেপাশে গ্রাম জুড়ে চলছে শোকের মাতম।
স্থানীয়রা জানান, ইয়াছিন প্রধানের মা আনোয়ারা বেগম (৮২) বার্ধক্য জনিত কারণে দীর্ঘদিন অসুস্থতা থাকার পরে বৃহস্পতিবার সকালে মৃত্যুবরণ করেন। তার মায়ের মৃত্যুতে ৪ ভাই, ৩ বোনসহ আত্মীয়-স্বজন সবাই তাদের বাড়িতে আসেন। মায়ের মৃত্যুতে খুব কান্নাকাটিও করেছিলেন ইয়াছিন প্রধান। মায়ের মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে আছরের নামাজের পরে তার মায়ের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার পূর্ব মুহূর্তেই স্ট্রোক করেন ইয়াছিন প্রধান। সেখান থেকে নিকটস্থ সুজাতপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ইয়াসিন প্রধানের মৃত্যুতে তার মায়ের জানাজা দিতে আসা লোকজন ও আত্মীয়স্বজন হতভম্ব হয়ে পড়েন।
ইয়াছিন প্রধানের একমাত্র ছেলে সায়মন হোসেন লাদেন কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমার বাবা আমার দাদিকে খুব ভালোবাসতেন এবং আমার দাদিকে সবসময় সেবা যত্ন করতেন। সকালে দাদি মারাগেলে আমার বাবা খুব ভেঙে পড়েন। আসর নামাজের পরে সবাই দাদির জানাজা একত্রিত হলে ঠিক ওই মুহূর্তেই আমার বাবা স্ট্রোক করেন। ওখান থেকে আমার বাবাকে হাসপাতাল নিয়ে গেলেন ডাক্তাররা আমার বাবাকে মৃত ঘোষণা করেন। এখন আমি কি করবো বুঝতে পারতেছি না। আমি এতিম হয়ে গেলাম।
ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজমল হোসেন চৌধুরী জানান, বিষয়টি খুবই মর্মাহত, আমার কাছে খুব খারাপ লাগতেছে। ইয়াসিন প্রধানের ছোট ভাই বাবর আরিফ সমাজের দীর্ঘদিন ধরে অসহায় মানুষের সাহায্য সহযোগিতা করে আসছে।
মৃত্যুকালে ইয়াছিন প্রধান স্ত্রী, ১ ছেলে, ৪ ভাই, ৩ বোনসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুনগ্রাহী গেছেন। এশার নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মা আনোয়ারা বেগম ও ছেলে ইয়াছিন প্রধানকে দাফন করা হয়।
ফম/এমএমএ/