মাদকের পাচার বেড়েছে নৌ পথে

চাঁদপুর নৌ পুলিশের অভিযানের সংরক্ষিত ছবি।

চাঁদপুর: ভারত সীমান্তবর্তী জেলা কুমিল্লা থেকে মাদক সংগ্রহ করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাচার করার জন্য নৌ-পথকে নিরাপদ মনে করছেন মাদক কারবারীরা। সম্প্রতি সময়ে এসব মাদক বিক্রেতাদেরকে আইন শৃঙ্খাবাহিনী চাঁদপুর লঞ্চঘাট, ডাকাতিয়া নদী, মেঘনা নদী ও হরিণা ফেরিঘাট এলাকা থেকে পাচারের সময় মাদকসহ আটক করতে সক্ষম হয়েছেন। বিশেষ করে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চাঁদপুরে যোগদানের পর থেকে বেশ তৎপর জেলা পুলিশ।

সম্প্রতি কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশন এর টহল সদস্যরা চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে ঢাকাগামী এমভি মিতালী লঞ্চে অভিযান চালিয়ে ১০ কেজি গাঁজাসহ মাদক বিক্রেতা মো. জানু মিয়াকে আটক করেন। জানু জিজ্ঞাবাসাদে জানায় জব্দকৃত গাঁজা কুমিল্লা হতে বিক্রির উদ্দেশ্যে চাঁদপুর হয়ে লঞ্চ যোগে ঢাকা নিয়ে যাচ্ছিল।

গত ১৬ আগস্ট চাঁদপুর হরিণা ফেরিঘাট এলাকা থেকে ২১ কেজি গাঁজা ও ৪৪০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মো. বাবুল ও মো. রজমান আলী নামে দুই মাদক বিক্রেতাকে আটক করেন জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের রেইডিং টিম।

এর আগে ১২ আগস্ট কোস্টগার্ড চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে ঢাকাগামী এমভি রফরফ-৭ লঞ্চে অভিযান চালিয়ে নরসিংদী জেলার মাদক বিক্রেতা মো. আমির হোসেনকে ৭ কেজি ২০০ গ্রাম গাঁজাসহ আটক করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আমির হোসেন জানান, মাদকগুলো কুমিল্লা হতে বিক্রির উদ্দেশ্যে চাঁদপুর হয়ে লঞ্চযোগে ঢাকা নিয়ে যাচ্ছিল।

গত ১১ আগস্ট রাতে চাঁদপুর লঞ্চ টর্মিনাল থেকে ৯ কেজি গাঁজাসহ মো. রুবেল ও মো. আরাফাত নামের দুই মাদক বিক্রেতাকে আটক করে নৌ থানা পুলিশ।

এর আগে গত ৭ আগস্ট জেলার বিভিন্ন থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) মাদকবিরোধী পৃথক অভিযানে গাঁজা ও ফেন্সিডিলসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেন।

চাঁদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, জেলায় মাদকদ্রব্য নির্মূল ও প্রতিরোধে ৮ থানা একযোগে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করে যাচ্ছে জেলা পুলিশ।

নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, নৌপথ নিরাপদ রাখতে মাদক, চোরকারবারি, ডাকাতিসহ সব ধরণের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে নৌ পুলিশ কাজ করছে। এটি নৌ পুলিশের নিয়মিত কাজের অংশ।

ফম/এমএমএ/

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | ফোকাস মোহনা.কম