মনিরুজ্জামান প্রমউখ’-এর তিন কবিতা

অ-তুল বাবা 
মনিরুজ্জামান প্রমউখ
———————————————-
জন্ম হতে, বুঝতে শিখে-
বাবা’র অনবদ্য পেয়ার দেখেছি ।
এক-টু-খানি কেঁদে উঠলে,
বাবা’র হাতে’র সোনার পরশ পেয়েছি ।
দিন-গুলো সব- মহব্বতে’র নৌকোয় চড়ে,
জীবনে’র পাড় ধরে-ছিলো ।
কিশোর বয়সে’র আবদার-গুলো হয়-তো
অর্থ-সংকটে ব্যর্থ’ই ছিলো !
বাবা’র মুখে’র নরম কথায়- না পাওয়া-গুলো
পাওয়া’র নিমক ছেড়ে’ই দিতো ।
এক নিমিষে’ই কান্না-গুলো টেক্কা-চালে,
আনন্দে’র রৌদ্র-ভরে’র জমিন হতো ।
সম্ভবতে’র শরীর ধরে- বাবা’র হাতে, হাত রেখে-
ভ্রমণ হতো- নির্ভাবনা’র যতো ।
পুলিশ ফাঁড়ি হতে, বাসায় হেঁটে’ই আসতো-
আমাদের মনোয়ার মাঝে, তৃপ্তি যোগাতো ।
এমন স্নেহে’র পরশ-মাখা দিন-গুলো সব- মরে’ই গেলো,
বয়স আমার পঁচিশ সারলো ।
হঠাৎ যেনো- আচানক সাজানো মনোবৃত্তি’র ঘরে,
গুটি-পোকা’র আক্রমনে’র জোয়ার এলো !
মমত্বে’র পাহাড়-টা দিনে দিনে, ভেঙে ভেঙে, খুচরো হয়ে-
বিষাক্তে’র সর্পীয় ফণা হলো ।
বাবা আর- বাবা রইলেন-না, যেনো- হয়ে উঠলেন,
সহানুভূতি’র বিপরীত মন্ত্রে’র যোজক !
পদে পদে উল্টো-স্রোতে’র জল মিশিয়ে-
জীবনে’র পথ-গুলো করেছেন, পিচ্ছিল হীন-রঙা রূঢ়ক !
বিশ-টি বছর কেটে’ই গেলো-
ফিরতি রঙ-বাহারে’র শোধন কার্যে, সোশ্যাল প্রলেপ হতে হতে ।
ফিরলেন-না, প্রবীণতা’র শেষ বিকেলে’র সূর্য ডোবা’র লালে,
লাল মিশিয়ে- স্নেহে’র নিউটন হতে ।
তবূ- বাবা আমার কাছে, পুরো’ই বাবা,
শ্রদ্ধা-সম্মানে’র অ-তুল বাবা, বিশ্ব বাবা-দের গণ্ডি হতে ।।
————————
অ-চিন পাখি’র খাঁচা 
————————-
এখন ভালোবাসা-টা
এক-চুমুক চায়ে’র মতো ।
যতোক্ষণ মুখে’র মধ্যে তার বিচরণ,
ঠিক ততোক্ষণ’ই নাম তার- ভালোবাসা ।
গিলে ফেলা’র আগ মুহূর্ত অবধি-
তা শুধু- অনুরণন-ব্রত ।
পর মুহূর্ত হতে’ই ভালোবাসা-
বিরহ-বন্ধনা’র লগ্ন কেটে,
অ-চিন পাখি’র খাঁচা ।।
ভেবেছিলাম 
—————
শরৎ’- এর বুকে কাশ ।
এ বুকে তোমার রুহ-হ্রাস ।
যুগে’র বুকে কতো-ফাঁস ?
এলি ঝুলে, চলে গেলে- প্রিয় ।
অপেক্ষা-কে করেছিলে প্রলম্বিত !
ভেবেছিলাম, আমি’ই তোমার ব্রত ।
যখন দেখি- শরৎ আগত আগত ।।
—————————-
মনিরুজ্জামান প্রমউখ ।
হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর, বাংলাদেশ ।
পরিচালক- সাহিত্যে’র বাস্তু-ডাক-ঘর ।
উদ্যোক্তা- প্রমউখ’ ব্যবসা ঘর ।
মোবাইল- ০১৯১-৮৪৩-৭০৭৮(WhatsApp), ০১৭২-৯৮৪-৭২০৪ ।
ই-মেইল- manirujjamanpramukh1977@gmail.com/
manirujjamanpramukh1977@outlook.com/

ফোকাস মোহনা.কম