মদ নকল-ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হতে হবে

মদ নকল-ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হতে হবে

বাংলাদেশকে বলা হয় নকল-ভেজালের অভয়ারণ্য। এমন কোনো খাদ্যপণ্য নেই যেখানে ভেজাল কিংবা নকলের থাবা নেই। আর ভেজাল মদের দৌরাত্ম্য চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। প্রতি বছর ভেজাল মদ খেয়ে মারা যাচ্ছে বিপুলসংখ্যক মানুষ। এ ধরনের ঘটনা অহরহ ঘটলেও গণমাধ্যমে তার একটি ক্ষুদ্র অংশই প্রকাশ পায়।

সমালোচনা এড়াতে এসব ঘটনার বেশির ভাগই চেপে যায় ভুক্তভোগী পরিবার। পুলিশসহ অন্যান্য ঝামেলা এড়াতে মদ খেয়ে অসুস্থরা সাধারণত হাসপাতাল এড়িয়ে চলতে চান। পরিস্থিতি গুরুতর হলেই কেবল হাসপাতালে যান।

এ ক্ষেত্রে বেশির ভাগই সরকারি হাসপাতাল বেছে নেন। বিশেষজ্ঞদের মতে বিষাক্ত মদে কিডনি ও লিভার সমস্যা দেখা দিতে পারে। হতে পারে হার্ট অ্যাটাক। স্নায়ুতন্ত্রেও মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। খাওয়ার অনুপযোগী মিথানল শরীরে প্রবেশ করলে বিষক্রিয়ায় দৈহিক কোষে অক্সিজেন সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়।

শরীরে অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায় এবং কিডনি সেই অতিরিক্ত অ্যাসিড বের করে দেওয়ার সক্ষমতা হারায়। এ কারণে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, প্রচণ্ড বমি হতে থাকে, দম বন্ধ হয়ে আসে। বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য কার্যত মদ একটি নিষিদ্ধ পণ্য। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী কেবল মদপানের অনুমতি দেওয়া হয়। তবে বিদেশিদের জন্য সে ধরনের কোনো বাধা নেই। সারা দেশে অনুমোদিত মদের দোকানের সংখ্যা ২০৩। এর ৯০ শতাংশই রাজধানী ঢাকায়।

তবে দেশজুড়ে অবৈধ মদের দোকান অনেক। বাংলাদেশে বিদেশ থেকে যেমন মদ আমদানি হয় তেমন পাচার হয়ে আসে ভেজাল মদও। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নামি মদ দেশেও নকল করে বাজারজাত করা হয়। এসব মদে মিথাইল অ্যালকোহলের উপস্থিতি থাকায় তা প্রাণ সংহারের কারণ ঘটায়।

বিষাক্ত মদপানে দেশে একাধিক বিদেশি নাগরিকের মৃত্যু হওয়ায় তা বিদেশে বাংলাদেশ সম্পর্কে ভুল বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে। যা কাম্য হওয়া উচিত নয়। মদ নকল-ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হতে হবে। তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

সংগ্রহীত লেখা।

ফোকাস মোহনা.কম