মতলব (চাঁদপুর): মতলব দক্ষিণের ঐতিহ্যবাহী শিশু সংগঠন সূর্যমুখী কচি -কাঁচা মেলার ৫৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী বিভিন্ন কর্মসূচী পালনের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে।
গত ৫ নভেম্বর সকাল ১০ ঘটিকায় মেলা প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিক জাতীয় পতাকা ও কচি-কাঁচার মেলার পতাকা উত্তোলন করেন মেলার সভাপতি মোঃ মাকসুদুল হক বাবলু ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আইনুন্নাহার কাদরী।
পরে সদস্যগন শপথ গ্রহণ করে। শপথ পরিচালনা করে শিশু সদস্য মেহজাবিন কাদরী। শপথ শেষে সদস্য ভাই-বোনদের এক র্যালি মতলবের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিন করে। বিকেল ৩.৩০ শুরু হয়। আলোচনা সভা,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরুস্কার বিতরণ।
মেলার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপিকা আইনুন্নাহার কাদরীর উপস্থাপনায় ও মেলার সভাপতি মোঃ মাকসুদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মতলব সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ, মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ এ কে এম মাহবুবুর রহমান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, ডাঃ শাহ মোঃ মহিবুল্লাহ, মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ রিপন বালা, মতলব মহিলা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অরুন পাল।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মেলার কর্মী সদস্য মেহজাবিন কাদরী, মেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াদুল আলম রিয়াদ, কচি-কাঁচা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আঃ ছোবহান, কচি-কাঁচা প্রি-ক্যাডেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক ফারুক আহমেদ বাদল, মেলার প্রবীণ সদস্য গোলাম মোস্তফা কাদরী, ফারুক বিন জামান, জাকির হোসেন, কে,এম, লোকমান হোসেন, মুহাম্মদ আবদুল কাইউম খান, কোষাধ্যক্ষ এস,এম সেলিম, সহ-সভাপতি দেওয়ান মোঃ রেজাউল করিম, চাঁদপুর অঙ্কুর কঁচি-কাঁচার মেলার ওমর ফারুক, মতলব দক্ষিণ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সালেহ আহমেদ।
অতিথিবৃন্দ মেলার কর্মসূচীর ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং শিশুদের শিক্ষার পাশাপাশি ভাল মানুষ হবার তাগিদ দেন। তারপর বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণদের মধ্যে প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি, অতিথিবৃন্দ ও মেলার কর্মকর্তাবৃন্দ পুরুস্কার ও সার্টিফিকেট বিতরণ করেন।
এরপর শুরু হয় মেলার শিশু সদস্যদের ও চাঁদপুর থেকে আগত ব্যান্ড দলের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পরিচালনায় ছিলেন মেলার তরুণ সদস্য কামরুল হাসান নিপু। সবশেষে আকর্ষনীয় র্যাফেল ড্র। পরিচালনা করেন প্রবীন সদস্য মোঃ আবদুল কাইউম খান।
অনুষ্ঠানে মেলার শত শত শিশু ভাই বোন, শিশু / তরুণ/প্রবীণ সদস্যনবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ, অভিভাবকবৃন্দ ও সাধারণ মানুষ উপভোগ করেন।
ফম/এমএমএ/