মতলব উত্তর (চাঁদপুর): একনেক সভায় অনুমোদন পেয়েছে চাঁদপুর ও মুন্সীগঞ্জ জেলাকে সংযোগ স্থাপনকারী ঝুলন্ত সেতু। মেঘনা ও ধনাগোদা নদীর উপর ব্রিজটি নির্মিত হবে। চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা ও মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার মধ্যে সরাসরি সড়ক সংযোগ সৃষ্টি করবে এই সেতু।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকালে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মতলব-গজারিয়া সেতুটি একনেকে পাশ হওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মতলববাসীর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস। তিনি তার ফেসবুক আইডি এবং বিভিন্ন মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানান। এই খবরে চাঁদপুর জেলা তথা মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলার জনসাধাণের মাঝে আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে।
মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলার মধ্যে সংযোগ সৃষ্টিকারী ‘মতলব সেতু’ বাস্তবায়নের সময় থেকেই ঢাকার সাথে চাঁদপুরের সড়ক দূরত্ব আরো কমিয়ে আনা এবং সহজ করার লক্ষ্যে বিগত ২০১২-১৩ সালে সেতু নির্মাণের জন্য মতলববাসীর পক্ষ থেকে দাবী তোলেন উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস। পরে সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী (মায়া) বীর বিক্রম এই সেতু নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এরপর বর্তমান সাংসদ অ্যাড. নুরুল আমিন রুহুল এসেও ২০১৯ সালে ব্রীজটি নির্মাণের জন্য সেতু মন্ত্রণালয়কে ডিও দেন। এরপর পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম এই সেতু নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণে উদ্যোগ ও ভূমিকা রাখেন।
এই ঝুলন্ত সেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ১৭৪ কোটি টাকা। এর আওতায় মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া ও চাঁদপুরের মতলবের মেঘনা-ধনাগোদা নদীর ওপর ঝুলন্ত সেতু নির্মিত হবে। প্রকল্প চলবে ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত। সাধারণত প্রকল্পের মেয়াদ একনেকে পাস করার আগে থেকে শুরু হয়। তবে এই প্রকল্প পাস হয়ে থাকবে, পরে কাজ শুরু হবে। জানা গেছে, পুরোপুরি দেশীয় অর্থে সড়ক ও জনপথ বিভাগ এই প্রকল্প বান্তবায়ন করবে।
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা অনুষ্ঠিত হয়। এটিই হতে পারে বর্তমান সরকারের মেয়াদে শেষ একনেক সভা। সভায় চাঁদপুরের মেঘনা-ধনাগোদা নদীর ওপর একটি ঝুলন্ত সেতু নির্মাণের প্রস্তাব উত্থাপনের পর তা অনুমোদন লাভ করে।
ফম/এমএমএ/