মতলব উত্তর (চাঁদপুর): চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার কলাকান্দা ইউনিয়নের উত্তর দশানী গ্রামে রাতের আধাঁরে এক যুবলীগ নেতার বসতঘর পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। পরিবারের দাবী রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জের ধরে বসতঘরে আগুন দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২ মার্চ) গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। এতে নগদ ৫০ হাজার টাকাসহ প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও জানায় ভুক্তভোগী পরিবারটি।
ক্ষতিগ্রস্ত যুবলীগ নেতা আব্বাস ভূইয়ার স্ত্রী ঝর্ণা বেগম বলেন, গত বুধবার রাতে আমি পিতার বাড়ীতে ছিলাম। মধ্যরাতে আমার বসতঘরে আগুন লাগার খবর পেয়ে এসে দেখি আমার প্রতিবেশীরা আগুন নিভানোর চেষ্টা করছে । আগুন নিভানোর পর দেখি ঘরে থাকা নগদ ৫০ হাজার টাকা, ২টি সেগুন কাটের খাট, ১ টি ফ্রিজ, ১টি টিভি, ১টি সুকেজ, ১টি পড়ার টেবিল, লেপ তোষক ও আমার মেয়ের বই পত্রসহ তিন লক্ষাধিক টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
তিনি আরো জানান, গেল কলাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমার স্বামী নৌকা প্রতিকের পক্ষে কাজ করেছে। কিন্তু নৌকার বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে পাশ করার পর তার সমর্থকরা আমার স্বামী আব্বাস ভুইয়াকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে কয়েকবার। প্রানের ভয়ে আমার স্বামী গত ৩/৪ মাস যাবত বাড়ি ছাড়া। আমি বুধবার রাতে আমার বাপের বাড়ি ছিলাম এই সুযোগে চেয়ারম্যানের লোকজন আমার বসতঘরে আগুন দিয়ে ঘরে থাকা নগত টাকাসহ আসবাবপত্র জালিয়ে দিয়েছে বলে আমার ধারনা।
কলাকান্দা ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা আববাস ভূইয়া সাংবাদিকদের বলেন, আমি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা মার্কার সমর্থন করেছি। নৌকা মার্কার প্রার্থী হেরে যাওয়ার পর নৌকার বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন আমাকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শন করেন। আমি প্রাণের ভয়ে গত ৩/৪ মাস যাবত বাড়ি ঘর ছেড়ে অন্য জায়গায় ছিলাম। আমার স্ত্রী বুধবার তার বাপের বাড়িতে বেড়াতে যায়, এই সুযোগে তারা আমার বসতঘরে আগুন জালিয়ে দেয়।
১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মানছুর ও কলাকান্দা ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক এস এম মনির হোসেন বলেন, আববাস নৌকা মার্কার সমর্থক ছিল। নৌকার বিপক্ষে ছোবহান সরকার শুভা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচন করেছেন আর তার সমর্থকরাই হয়তো আববাসের ঘরে আগুন দিয়েছে। এদিকে কথা বলার জন্য কলাকান্দা ইউপি চেয়ারম্যান ছোবহান সরকার শুভার মোবাইলে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল বলেন, একটি বসতঘরে আগুন লাগার কথা শুনেছি। তবে কেউ থানায় এখনো এ ব্যাপারে অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফম/এমএমএ/