মতলব উত্তর (চাঁদপুর): চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি শান্তি পুরস্কার’ প্রাপ্তির ৫০ বছর উদযাপন করা হয়েছে।
রোববার (২৮ মে) সকালে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি শান্তি পদক’ প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভারপ্রাপ্ত মো. আল এমরান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান প্রধান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আওরঙ্গজেব, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মনোয়ারা বেগম, যুবলীগ নেতা মিরাজ খালিদ, সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন ডালিম, মমিনুল ইসলাম ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
প্রধান অতিথি বক্তৃতায় বীর মুক্তিযোদ্ধায় এমএ কুদ্দুস বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘বঙ্গবন্ধু’ হয়েছিলেন আগেই, সেই ১৯৬৯ সালে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ তাঁকে করেছে বাঙালির ‘অবিসংবাদিত নেতা’। আর বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিতে পান শান্তি পদক জোলিও কুরি। তিনিই জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান। বিশ্বশান্তি পরিষদের প্রেসিডেনশিয়াল কমিটির সভায় ১৪০টি দেশের প্রায় ২০০ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা সবাই একমত হয়েছিলেন, সারা জীবনের দর্শন আর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়কত্বের প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধুকে জুলিও কুরি পদক প্রদান করার। সে বিবেচনায় বিশ্বশান্তি পরিষদ ১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর পদকপ্রাপক হিসেবে বঙ্গবন্ধুর নাম ঘোষণা করে। আর পরের বছর ২৩ মে এশীয় শান্তি সম্মেলনের এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে সেই পদক বঙ্গবন্ধুকে পরিয়ে দেন পরিষদের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল রমেশচন্দ্র। সেই অনুষ্ঠানে রমেশচন্দ্র বলেছিলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলার নন, তিনি বিশ্বের এবং তিনি বিশ্ববন্ধু।’ স্বাধীন বাংলাদেশে কোনো রাষ্ট্রনেতার সেটিই ছিল প্রথম আন্তর্জাতিক পদক লাভ। যা বাঙালী জাতির জন্য ছিল একটি অন্যতম পাওয়া।
ফম/এমএমএ/আরাফাত/