
মতলব উত্তর (চাঁদপুর): মতলব উত্তর উপজেলার দৈনিক কালবেলা ও দৈনিক আদি বাংলা’র প্রতিনিধি মমিনুল ইসলামের উপর অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলার সময় লাঠি সোটা, লোহার রড, ধারালো লোহার ছেনা ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সাংবাদিক মমিনুল ইসলামকে হত্যা চেষ্টা করে হামলাকারীরা।
হামলায় শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম এবং উপর্যুপরি কিলঘুষি মারায় বুকে ও মাথায় গুরুত্বর আঘাত পেয়েছেন ওই সাংবাদিক। এখন মুমূর্ষু অবস্থায় মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ব্যাপারে সাংবাদিক মমিনুল ইসলাম নিজেই বাদী হয়ে মতলব উত্তর থানার একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০.৫০মিনিটের সময় পেশাগত দায়িত্ব পালন করে বাড়ি ফেরার সময় মতলব উত্তর উপজেলার ঘনিয়ারপাড়স্থ উপজেলা ভূমি অফিস এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় অন্যান্য পথচারীরা এসে নিয়ন্ত্রণ করে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করেন সাংবাদিক মমিনুল ইসলামকে। এমনকি তার ব্যবহৃত মোবাইল কেড়ে নেয় এবং মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। ঘটনার পর থেকে নানাভাবে হুমকি অব্যাহত আছে। ফলে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে নির্যাতনের শিকার ওই সংবাদকর্মী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল ১১টার দিকে দিকে উপজেলা পরিষদ মাঠ থেকে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান কভারেজ দিয়ে মোটন সাইকেল যোগে বাড়ি ফেরার পথে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ঘনিয়ারপাড় গ্রামের মৃত আ. গনি মোল্লার ছেলে মোঃ আমির হোসেন মোল্লা (৪৫), মৃত আ. মালেক মৃধার ছেলে মোঃ রাজিব মৃধা (২৮) ও মৃত জোহর আলী মোল্লার ছেলে মোঃ মিজান মোল্লা (৩৭)সহ তাদের সহযোগী ৬/৭জন লাঠি সোটা, লোহার রড, ধারালো লোহার ছেনা ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র হামলা করে।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, হামলাকারীরা দীর্ঘদিন যাবৎ অজ্ঞাতনামা বিবাদীদের সাথে নিয়ে এলাকায় মাদক ব্যবসা ও চুরি-ডাকাতি করে আসছে। চুরি, ডাকাতিসহ মাদক বিক্রি অবস্থায় একাধিকবার এলাকার গন্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গসহ পুলিশ তাদের আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মাদক ও চুরির মামলা রয়েছে। তাদের ভয়ে এলাকার কোন লোক প্রতিবাদ করিতে সাহস পায় না।
সাংবাদিক মমিনুল ইসলাম বলেন, ১০ নভেম্বর মিজান মোল্লাকে গরু চুরির ঘটনায় পুলিশ আটক করিলে, এই বিষয়ে আমার প্রকাশিত পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করি। তাছাড়া আমির হোসেন মোল্লা ও মিজান মোল্লার ইয়াবা সেবনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হলে, উক্ত ভিডিও আমি প্রকাশ করেছি, মিথ্যা সন্দেহ করে সকল হামলাকারী আমাকে প্রতিনিয়তই হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল।
এ বিষয়ে মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাশেদ মোবারক জানান, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে, সাংবাদিক মমিনুল ইসলামের উপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে মতলব উত্তরের কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ।
ফম/এমএমএ/