মতলব উত্তর (চাঁদপুর): ৮ই মার্চ ২০২০। এই দিনে বর্হিবিশ্বের পর বাংলাদেশে কোভিড-১৯ আঘাত হানে। প্রথম করোনা সনাক্ত হওয়ার পর দেশে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। আক্রান্ত, মৃত্যু এসব খবরেই কেটে গেল দুইটি বছর। গত দুই বছরে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায়ও করোনার থাবা ছিল ভয়াবহ। এই দুই বছরে টিকাদানের আওতায় এসেছে ৫০.২ শতাংশ মানুষ।
মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, দুই বছরে মতলব উত্তরে আক্রান্ত হয়েছে ৭১৫ জন। সুস্থ হয়েছেন ৭০৫ জন। আর করোনার কাছে পরাজিত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ১০ জন। অন্যান্য উপজেলা থেকে মতলব উত্তরে করোনা পরিস্থিতি ছিল বেশ নিয়ন্ত্রণে। তা সম্ভব হয়েছে সকল শ্রেণি পেশার মানুষের সচেতনতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাফেরা করার কারণে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত সকলে ছিল ব্যাপক তৎপর। আক্রান্তের খবর পেলে অথবা যেকোন তথ্য পেলেই স্যাম্পল কালেশনে ছুটে যেতেন উপজেলা ইপিআই টেকনিশিয়ান ভাষান কীর্তনীয়া সহ সকল স্বাস্থ্যকর্মীরা। এবং যথাযথ ব্যবস্থাসহ কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থাও করেছেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন তারা।
মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেন, করোনা আক্রান্তের দুই বছর পার হল। আল্লাহর রহমতে আমরা এখনো সুস্থ আছি। তিনি বলেন, গত দুই বছরে আমরা সরকারি নির্দেশনা মেনে আন্তরিকতার সাথে সেবা প্রদান করেছি। মানুষকে সচেতন করার জন্য কাজ করেছি। তিনি আরও জানান, গত দুই বছরে প্রথম ডোজ সম্পন্ন হয়েছে ২ লাখ ২০ হাজার ৯৩ জন (মোট জনসংখ্যার ৬৫.৮%), দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন হয়েছে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৮৫ জন (মোট জনসংখ্যার ৫০.২%) এবং বুষ্টার ডোজ সম্পন্ন হয়েছে ২ হাজার ৮৮০ জন। মোট জনসংখ্যার ৫০.২ ভাগ মানুষকে টিকাদান কর্মসূচীর আতাওতায় আনতে পারা একটি দৃষ্টান্ত বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
ফম/এমএমএ/