মতলব উত্তর (চাঁদপুর): চাঁদপুরের মতলব উত্তরের কলাকান্দা ইউনিয়নের দশানী গ্রামে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (২৮ মে) বেলা ১২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায দুই গ্রুপের প্রায় ১২ জন আহত হয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী মোঃ সাইফুল ইসলাম সুমনের বাড়ি-ঘরে হামলা করেছে প্রতিপক্ষরা। ঘটনার পর অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হয় ওই এলাকায়। এ ঘটনায় সাইফুল ইসলাম সুমন বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
উত্তর দশানী গ্রামের খলিলুর রহমান ভুইয়ার ছেলে মোঃ সাইফুল ইসলাম সুমন বলেন, আমার মামাতো ভাই মনির হোসেনের ড্রেজার মাওয়া থেকে আসছিল। হঠাৎ করে জানতে পারি মেঘনা নদীতে আসলে কারা যেন ইল্লালাহ-২ নামে ড্রেজারে আগুন ধরিয়ে দিছে। পরে আমরা নদীতে রওয়ানা হলে প্রতিপক্ষরা আমাদের উপর হামলা চালায় এবং ধাওয়া করে। পরে আমরা বাড়িতে চলে আসলে দশানীর সোহরাব সরকারের ছেলে রাজিব, রাসেল, কুতুব উদ্দিনের ছেলে তাজুল ইসলাম, লালু বেপারীর ছেলে কাউছার, কাদিরের ছেলে সেন্টু ও সামাদ মিজির ছেলে শামীম মিজি সহ বাহাদুরপুরের প্রায় ৮০-১০০ জন লোক এসে আমার বাড়িতে হামলা করে। আমার বিল্ডিংয়ের গ্লাস ভাংচুর করে ও ঘরের বেড়া কুপিয়ে নস্ট করে ফেলে। আমি বাঁধা দিলে আমার হাতে কোপ পড়ে। আমি আমার স্ত্রী লুৎফা বেগম ও শিশু সন্তান আতিকুল ইসলাম আহত হয়। দুটি ড্রেজারের ইঞ্জিন পুড়ে গেছে। ড্রেজারে থাকা ৪ জন শ্রমিকের মধ্যে তিনজন গুরুতর আহত হয়, ১ জন এখনো নিখোঁজ।
সাইফুল ইসলাম সুমন আরও বলেন, গত ইউপি নির্বাচনে আমাদের ওয়ার্ড থেকে নৌকা প্রতীক ১২০টি ভোট পেয়েছিল। সোবহান সরকার সুভা চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীকে নির্বাচন করে জয়ী হন। নির্বাচনের পর থেকে তিনি মনে করেন ভুইয়া বংশের লোকের তাকে ভোট না দিয়ে নৌকায় ভোট দিয়েছে। তাই তিনি আমাদের সাথে বিভিন্ন সময় শত্রুতা করে আসছে। আজকে (শনিবার) সুযোগ পেয়ে সোবহান সরকার সুভার নেতৃত্বে ৮০-১০০ জন এসে আমাদের ড্রেজারে আগুন দেয় এবং বাড়ি ঘরে হামলা করেছে। ড্রেজারে থাকা নগদ ৩ লাখ ৩৮ হাজার টাকা ও ঘরে থাকা নগদ ২ লাখ ৫০ টাকা নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় আমাদের মোট ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে কলাকান্দা ইউপি চেয়ারম্যান সোবহান সরকার সুভার সাথে কথা বলার জন্য তার বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার এক কর্মী শরীফ বলেন, তারা আমাদের উপর হামলা করেছে। চেয়ারম্যানের ডগইয়ার্ডের শ্রমিক নাছিরাকান্দির সজিব, শফিকুল, শাহাদাত, জীবন আহত হয়েছে। তারা এখন চাঁদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এছাড়াও স্থানীয় আমজাদ’সহ চেয়ারম্যানের আরো কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছে।
মতলব উত্তর থানার ওসি মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল বলেন, ঘটনার পর এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ফম/এমএমএ/