চাঁদপুর চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার সাড়পাড় গ্রামে এক নারী পরিবেশবীদের অর্ধশতাধিক ফলজ ও বনজ গাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। যেখানে সরকার পরিবেশ রক্ষায় প্রত্যেকে নাগরিককে একটি করে হলেও গাছ লাগানোর কথা বলছে। সে অবস্থায় দুর্বৃত্তরা ৪০ শতক জমির মধ্যে রোপন করা আট থেকে নয় বছর বয়সী ৫০-৬০টি বনজ গাছ কেটে ছেলেছে।
গাছ কাটার বিষয়ে নারী পরিবেশবীদ রাফেয়া আবেদীন বলেন, কর্ম ব্যস্থতার কারনে আমি বেশীরভাগ সময় ঢাকায় থাকি। গত বৃহস্পতিবার এলাকা থেকে ওয়াটসএ্যাপে আমাকে কেটে ফেলা গাছের ছবি পাঠানো হয়। আমি ছবিগুলো দেখে হতবাগ হয়ে যাই। আমি জীবনের ৪০ বছরের অধিককাল ঢাকা নগরীর পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষ নিয়ে কাজ করে আসছি। আর আজ জীবদ্দশায় আমার হাতে রোপনকৃত ৫০/৬০টি গাছ কাটা অবস্থায় দেখতে হলো।
তিনি বরেন, ঘটনা জানার পর এলাকায় খোজ খবর নিয়ে জানতে পারি স্বপন খান, তপন খান, মোখলেছ খান, রাজন খান, রিপন খানসহ তাদের আরও কিছু লোকজন এ ঘৃন্য কাজ করেছে। পরবর্তীতে আমি বিষয়টি মতলব দক্ষিণ থানার ওসি সাহেবকে অবহিত করেলে তিনি একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে বলেন। এছাড়ারও আমি বন বিভাগ ও পরিবেশ ধিতপ্তরেকে গাছ কাটার বিষয়টি অবহিত করেছি।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ: ১। স্বপন খান ২। তপন খান, উভয় পিতা-মৃত বাশার খান, ৩। মোখলেছ খান, পিতামৃত আফছার উদ্দিন ৪ । জাহিদ খান, পিতা-মৃত আবু তাহের খান, ৫। রাজন খান, পিতা- মোখলেছন খান,
৬। রিপন খান, পিতা-দূর্লভ খান, সর্ব সাং-সাড়পাড়, থানা-মতলব দক্ষিণ জেলা-চাঁদপুর নাম উল্লেখ করে পরিবেশবীদ রাফেয়া আবেদীন লিখিত অভিযোগে লেখেন, আমি একজন সহজ সরল নিরীহ আইন মান্যকারী মহিলা বটি। পক্ষান্তরে আসামীগণ অত্যন্ত দুষ্ট, দুর্দান্ত, পরধন আত্মসাৎকারী, পরিবেশ বিনষ্টকারী লোক বটে। আমি ও আমার স্বামী নিম্ন তপছিল বর্ণিত ভূমি ভূমির মালিক দখলকার বটি। উক্ত ভূমিতে আমি ও আমার স্বামী বহু অর্থ ব্যয় করিয়া বিভিন্ন প্রকার ফলবান ও মূল্যবান গাছ গাছড়া সৃজন ও রক্ষনাবেক্ষন করিয়া আসিতেছে। বর্তমানে বৈশ্বিক উষ্ণতা ক্রমগত বেড়ই চলেছে। তাই পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে বৃক্ষরোপন একটি অন্যতম উপাদান। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের জনগণ গাছ লাগানো ও গাছ রক্ষার চেষ্টা করিতেছে। গাছ পরিবেশের জন্য অত্যন্ত উপকারী। আমাদের জীবনের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় গাছ কাটার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকিয়া নারায়নপুর সাড়পাড় গ্রামের কতিপয় সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকজন দিবালোকে লোকজনের সম্মুখে কাউকে তোয়াক্কা না করে আমি ও আমার স্বামীর তপছিল বর্ণিত সম্পত্তি হইতে ৫০/৬০টি সীল কড়ই গাছ কর্তন করে নিয়ে যায়। উক্ত বিষয়ে আসামীগনকে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে আসামীগণ আমাদের মারাত্মক ক্ষতি সাধনসহ খুন জখম করিবে মর্মে হুমকি ধমকি প্রদর্শন করে। বিষয়টি পরিবেশের জন্য খুবই উদ্বেগজনক। এমতাবস্থায় আমার ও আমার স্বামীর ক্রয়কৃত মূল্যবান সম্পত্তির মধ্যে পরিবেশ রক্ষা করা প্রায় ৫০ (পঞ্চাশ) এর অধিক গাছ কর্তন করায় উক্ত গাছ উদ্ধারক্রমে আসামীগণের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা একান্ত আবশ্যক।
ফম/এমএমএ/