চাঁদপুর : চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ২০২৪ এর জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ১৩ জন ও ৭ জন শহিদ স্মরণে সভা এবং তাদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে এই সভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একি মিত্র চাকমা।
সভার শুরুতে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে একমিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একি মিত্র চাকমা বক্তব্যে বলেন, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার সমন্বিত গণঅভ্যুত্থানে দেশের জনগণ এক নতুন বাংলাদেশ পেয়েছে। জনগণের অভিপ্রায় অনুযায়ি নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ এখন সকলের দায়িত্ব। গণঅভ্যুত্থানে নতুন একটি অধ্যায় সূচনা হয়েছে। আমরা চাই আধুনিক ও বৈষম্যহীন সমাজ। বাংলাদেশে কোন বৈষম্য থাকতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, যে কোন প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে সংগ্রাম মানুষের চিরায়ত ঐতিহ্য এবং এটি আমরা যুগে যুগে দেখতে পেয়েছি। সকল আন্দোলনে সবার পক্ষে অংশগ্রহণ করা সম্ভব হয় না। যারা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে তারা আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করে ও অন্যদের পথ দেখিয়ে নিয়ে যায়। যারা গণঅভ্যুত্থানে জীবন দিয়েছেন, ত্যাগ স্বীকার করেছেন, দুঃখ-কষ্ট ভোগ করেছেন এবং যে মায়েরা সন্তান হারিয়েছেন সবারই আত্মত্যাগ সফল হোক। সবাইকে নিয়ে আমরা যেন সুন্দর দেশ ও সমাজ গড়তে পারি।
সভায় আরো বক্তভ্য দেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিল্লোল চাকমা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আবু সাঈদ, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. শ্যামল চন্দ্র দাস, মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল হক, সাংবাদিক জাকির হোসেন বাদশা, সুমন আহম্মেদ, মাহফুজুর রহমান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র নেতা জুবায়ের ইসলাম আসিফ, নাজমুল হাসান, শহীদ পারভেজ এর বাবা মো. সবুজ, শহীদ মো. সোহেল এর চাচা মো. শাহআলম খান, আহত মিরাজের ভাই শরিফ হোসেন প্রমুখ।
সভায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, আহত ও শহিদ পরিবারের সদস্য, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভাশেষে মতলব উত্তরের ৭ জন শহিদ পরিবারের মাঝে ৫ হাজার ও ১৩জন আহত পরিবারের মাঝে ৩ হাজার করে আর্থিক অনুদান প্রধান করে উপজেলা প্রশাসন।
ফম/এমএমএ/