মতলবে কেন্দ্রীয় নেতাদের পথসভা মঞ্চ ভাংচুর ও হামলার ঘটনায় ২শ’ জনকে বিবাদী করে মামলা

মতলব উত্তর (চাঁদপুর): চাঁদপুরের মতলবের সিপাই কান্দি  এলাকায় মতলব সেতু সংলগ্ন গত ২ অক্টোবর কেন্দ্রীয় নেতাদের পথসভার মঞ্চ ভাংচুর ও হামলার ঘটনায় ৯৩ জনকে বিবাদী করে মতলব উত্তর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরো ১৫০-২০০ জনকে বিবাদী রাখা হয়েছে। সোমবার মোহনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি বিল্লাল তফাদার বাদী হয়ে মতলব উত্তর থানায় এ মামলা করেন। মামলা নং ১ (১০) ২১।

মামলায় প্রধান বিবাদী করা হয়েছে সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার ছেলে সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপুকে। আরো আসামী রয়েছে, গাজী মুক্তার, আহার খালাশী, খোরশেদ খালাশী, আজমল হোসেন চৌধুরী, সোবহান  সরকার সুভা, মিনহাজ উদ্দিন খান, মুছাদ্দেক হোসেন মুরাদ, দেলোয়ার হোসেন দানেশ, আলমগীর হোসেন, কামাল গাজী, রিপন, মিজান, রুবেল মিয়া বাবুসহ ৯৩ জনের নাম প্রকাশ সহ অজ্ঞাতনামা ১৫০-২০০ জন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২ অক্টোবর চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত তৃণমূল প্রতিনিধি সভায় যোগ দিতে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ চাঁদপুর আসার পথে সংবর্ধনা দিতে মতলব সেতু এলাকায় স্থানীয় এমপি অ্যাড. নুরুল আমিন রুহুল সমর্থিত কর্মীরা একটি পথসভার মঞ্চ করেন। ওইখানে সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার ছেলে সাজেদুল  হোসেন চৌধুরী দিপু সহ বিবাদীরা পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামছুল আলম ও চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. নুরুল আমিন রুহুল এর গাড়ী বহরের পিছনে হামলা করে। পথ মঞ্চটি ভাংচুর করে জাতির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের ছবি সম্বলিত ব্যানার ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে। এসময় এমপি রুহুল গ্রুপের কর্মীদের ৪ টি প্রাইভেটকার ও মাইকোবাস সহ প্রায় ২০-২৫ টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। বিবাদীরা দা, ছেনি, রড, হকি ষ্টিক, রাম দা, কুড়াল, গ্যাস পাইপ ও লাঠি সোটা নিয়ে চলন্ত গাড়ি গতিরোধ করে আক্রমণ করে ও এমপি রুহুল সমর্থিত কর্মীদের মারধর করে। এসময় মামলার বাদী সহ প্রায় ৩০ নেতাকর্মী গুরুতর আহন হন। কয়েকজনের সাথে থাকা ৫ হাজার ৩৬০ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় বিবাদীরা। ভাংচুরকৃত গাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ২০ লাখ টাকা।

আরও পড়ুন>>মতলবে আ’লীগের দুই গ্রুপের মাঝে সংঘর্ষ, গাড়ী ভাংচুর, মেয়র প্রার্থীসহ আহত ৩০

মামলার বাদী বিল্লাল তফাদার বলেন, যাতে আমরা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে শুভেচ্ছা জানাতে না পারি সেজন্য পরিকল্পনা মন্ত্রী ও স্থানীয় সাংসদের গাড়ি বহরে হামলা করেছে দিপু খালাশীর সন্ত্রাসী কর্মী বাহিনী। দিপু খালাশী ও গাজী মুক্তারের সন্ত্রাসী বাহিনীরা দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা হামলা করে পথসভার স্টেজটি ভেঙ্গে ফেলেছে, বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের ছবি সম্বলিত ব্যানার ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলেছে এবং আমার মাইক্রোবাসসহ ৪ টি গাড়ি ও ২০/২৫ টি মোটরসাইকেল ভেঙ্গে ফেলেছে তারা। আমি ও আমার সাথে থাকা নেতৃবৃন্দকে  মারধর করে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমি প্রশাসনের কাছে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করছি।

মতলব উত্তরের আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতবৃন্দ মনে করেন, এভাবে দাঙ্গা হাঙ্গামা চলতে থাকলে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নস্ট হতে পারে। ইত্যোমধ্যে মায়া চৌধুরীর ছেলে দিপু চৌধুরী কর্তৃক মতলবে কয়েকটি আইন শৃক্সখলার পরিপন্থি ঘটনা ঘটেছে।

ফম/এমএমএ/

আরাফাত আল-আমিন | ফোকাস মোহনা.কম