মতলবের সূদ ব্যবসায়ি হারুনের প্রতারণা থেকে মুক্তি পেতে ভুক্তভোগীদের মানববন্ধন

চাঁদপুর :  মতলবের সূদ ব্যবসায়ি হারুন মুন্সির প্রতারনা থেকে মুক্তি পেতে ভুক্তভোগীরা  মানববন্ধন করেছে বহরি ও পিংড়া এলাকার ভোক্ত ভোগিরা ।

উপজেলার পিংরা  বহড়ি বাজার এলাকায়  বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি)  বিকালে  মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। মানববন্ধনের আয়োজন করেন ওই এলাকার বাসিন্দা শাহাবুদ্দীন।

ভুক্তভোগীরা বলেন, মতলব ডিগ্রি কলেজ গেইট এলাকার  হারুন মুন্সি (৪৫) কোনো ব্যবসা না করেই কোটি কোটি টাকা সুদের মাধ্যমে  আমজনতার কাছে দিয়ে অধিক মুনাফা লুটে নিচ্ছে। আর যারা সুদে তা কাছ থেকে টাকা এনেছে হারুন মুন্সি তাদের কাছ থেকে খালি স্ট্যাম্প, খালি ব্যাংক চেক ও ভোটার আইডি কার্ডে কার্বন কপি রাখেন জামানত বাবদ। সুদের  লভ্যাংশ দিয়ে টাকা পরিশোধ করেছে এমন ব্যাক্তিদের কাছ থেকে রাখা  অলিখিত স্ট্যাম্প,ভোটার আইডি কার্ডের কার্বন কপি ও ব্যাংকের অলিখিত চেক   এখনো ফেরত দিচ্ছে না। হারুন মুন্সি দির্ঘ্য দিন হত্যা মামলার আসামী হয়ে হাজতবাস খেটেছেন। জামিনে এসে তিনি মতলবে সুদের ব্যবসা শুরু করে রাতা রাতি বিপুল অর্থের মালিক বনে যান বলে ভোক্ত ভোগিরা জানান।

ভোক্ত ভোগি পিংরা মাস্টার বাজার এলাকার মৃতঃ চান মিয়ার ছেলে সাহাবুদ্দীন জানান, ৫০ হাজার টাকা সুদে দু বছর আগে আনেন।  দু বছরে সুদের লাভের ৫৫/ ৬০  হাজার টাকা প্রদান করেন। তার কাছ থেকে স্ট্যাম্প, চেক পাতা, আইডি কার্ডের কার্বন কপি  জমা রাখেন। সুদ আনা মুল টাকা করোনার জন্য পরিশোধ করতে না পারায়  সুদ ব্যবসায়ী হারুন মুন্সি নিজে ও তার লোকজন দিয়ে নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছে
বলে জানায়।
অপর ভোক্ত ভোগি  হাসান জানায়, লকডাউনের সময় হারুন মুন্সির কাছ থেকে সে ৫০ হাজার টাকা সুদ নেন। ৬ মাসের মধ্যে আমি আমার স” মিল বিক্রি করে  সুদ সহ সকল টাকা পরিশোধ করে ১ হাজার টাকা কম দেই। টাকা কম দেওয়ায় হাসানের কাছ থেকে স্ট্যাম্প, চেক পাতা, আইডি কার্ডের কার্বন কপি তিনি জমা রাখেন। সেই কাগজ তিনি হাসান কে ফেরত দেন না।

সানু বেগম নামের অসহায় এক নারী জানান, তার পরিবার হারুন মুন্সির কাছ থেকে সুদে টাকা আনেন। সুদসহ সব টাকা পরিশোধ করলে ও খালি স্ট্যাম্প, খালি ব্যাংকের চেক, ভোটার আইডি কার্ডের কার্বন কপি এখন পর্যন্ত সে ফেত দেয় না। হারুন মুন্সি কাছে বহুবার এ সব কাগজ ফেরত চাইলে দেই দিচ্ছি করে হয়রানি করছে।

বহরির স্কুল শিক্ষক আমজাদ মাস্টার হারুন মুন্সির কাছ থেকে কিছু টাকা সুদে নেন। সে টাকা  পুরপুরি পরিশোধ করতে কিছু সময় লাগে। ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে আমজাদ মাস্টার কে হারুন মুন্সি নিজে উপস্থিত থেকে লোকজ নিয়ে  তুলে নিয়ে যাবার সময় স্থানীয় জনতা দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে ।

আবু ইউসুফ কাজী জানান,  ৯৯ হাজার টাকা সুদে এনে তাকে দিয়েছেন  দেড় লাখ। স্ট্যাম্প ও আইডিকাডের ফটোকপি এখনো  ফেরত দিচছে না।

এমনি ভাবে আরো ভুক্তভোগী  দিনেশ সরকার,  রিপন সরকার,  জামাল মৃধা,ফারুক হোসেন,  জুয়েল কবিরাজ, মোস্তফা মৃধা, ইউসুব কাজী, আবু সাঈদ, মুক্তা বেগম, রবিউল ইসলামসহ  আরো ২০/২৫ জনের সাথে একই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে।

এ ব্যাপারে সুদ ব্যবসায়ী হারুন মুন্সির সাথে মুঠো ফোনে কথা বললে তিনি বলেন, আমি সুদে টাকা দেই এটা আমার বৈধ ব্যবসা। আপনারা যা খুশি তা লিখেন।

ফম/এমএমএ/

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | ফোকাস মোহনা.কম