
চাঁদপুর: চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) এ এস এম মোসা বলেছেন, কোন কিছু অন্যায্য হওয়া উচিত নয়। ন্যায্য মূল্যের বাহিরে গেলেই ভোক্তা প্রতারিত হবে। অনেক সময় হোটেলে নিম্নমানের সস দেয়া হয়। কথা হচ্ছে এই সসটা দেয়ারই দরকার কি? আপনি লাভবান হবেন তবে স্বাস্থ্যকর খাদ্য দিয়ে লাভবান হন। ভোক্তাকে প্রতারিত করার চিন্তা চেতনা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে চাঁদপুর সার্কিট হাউজে আয়োজিত ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অবহিতকরণ ও বাস্তবায়ন বিষয়ক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা মুখে অনেকসময় অনেক কথা বলি কিন্তু মন-মানসিকতা থেকে ঠিক হতে পারছি না। আইন আছে আইনের প্রয়োগও হচ্ছে কিন্তু নিজেদের সচেতন হতে হবে। নিজের নীতি নৈতিকতাকে ঠিক করতে হবে। নিজেরাই নিজেকে সচেতন করতে পারলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সক্ষম হবো।
আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য দেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াসির আরাফাত, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. এ কে এম মাহবুবুর রহমান, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী ও প্রেসক্লাবের সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহ।
সেমিনারের শুরুতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ বিষয়ে ডকুমেন্টারি উপস্থাপন করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক নুর হোসেন রুবেল।
উম্মুক্ত আলোচনা পর্বে বক্তব্য দেন, চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক গোপাল সাহা, নতুন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি তাফাজ্জল হোসেন পাটওয়ারী, ওষুধ ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি সুভাষ পাল, পাল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সফর আলী মাষ্টার, জেলা ক্যাব এর দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব সরকার ও মহিল কাউন্সিলর আয়েশা রহমান প্রমূখ।
সেমিনার শেষে নির্ধারিত বাজার মূল্যতালিকার নমুনা বোর্ড চেম্বার অব কর্মাস ও ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটসহ অতিথিরা।
ফম/এমএমএ/