ব্লু ইকোনমির জন্য বাংলাদেশকে সম্ভাবনাময় দেশ ভাবা হয়। যুক্তরাজ্য ও নেদারল্যান্ডসের সহায়তায় দেশের সমুদ্রসীমার একাংশে যে গবেষণা চলছে তাতে বিপুল গ্যাস মজুদ থাকার তথ্য উদ্ঘাটিত হয়েছে। এ বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম বলেছেন, তারা বঙ্গোপসাগরের মহীসোপানে যতটুকু এলাকা জরিপ করেছেন তাতে ধারণা করা হচ্ছে সেখানে ন্যূনতম ১৭ থেকে ১০৩ ট্রিলিয়ন কিউবিক ফুট গ্যাস হাইড্রেট মজুদ রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের প্রতিনিধিসহ নেদারল্যান্ডসভিত্তিক গবেষকরা ২০২০ সালে বাংলাদেশের সমুদ্র এলাকায় গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করেন। ওই গবেষণা থেকে বাংলাদেশে ২২০ প্রজাতির সামুদ্রিক শৈবাল, ৩৪৭ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ, ৪৯৮ প্রজাতির ঝিনুক, ৫২ প্রজাতির চিংড়ি, ৫ প্রজাতির লবস্টার, ৬ প্রজাতির কাঁকড়া, ৬১ প্রজাতির সি-গ্রাস চিহ্নিত করা হয়। বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় অনেক কম। তবে এ সমুদ্রসীমায় বিপুল গ্যাস মজুদ থাকার আভাস পাওয়া গেছে।
দেশের স্থলভাগে গ্যাসের বড় ধরনের কোনো মজুদ আবিষ্কৃত হওয়ার সম্ভাবনা নেই মনে করা হয়। যে কারণে ইন্ধন শক্তির জন্য দেশের সমুদ্রসীমার ওপর ভরসা করতে হচ্ছে। সমুদ্রসীমায় ইতোমধ্যে গ্যাসের যে মজুদ পাওয়া গেছে তা বহু বছরের চাহিদা পূরণে অবদান রাখবে। এর পাশাপাশি অন্যান্য সামুদ্রিক সম্পদ আহরণ করা সম্ভব হলে দেশের অর্থনীতির জন্য আশীর্বাদ বয়ে আনবে।
দেশের সমুদ্রসীমাকে বলা হয় মৎস্যসম্পদে সমৃদ্ধ এলাকা। এ মৎস্যসম্পদের একটা সামান্য অংশ আহরণ করা সম্ভব হচ্ছে। এর পাশাপাশি অন্যান্য সামুদ্রিক সম্পদ আহরণ করা গেলে বছরে কয়েক হাজার কোটি টাকা উপার্জন করা সম্ভব হবে। ব্লু ইকোনমির বদৌলতে সমৃদ্ধ হবে বাংলাদেশের অর্থনীতি। বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগও সৃষ্টি হবে। খুলে যাবে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত।
সংগ্রহীত লেখা।