ব্যবসায়ীরা যেন সাধারণ মানুষের কষ্টের কারণ না হয়ে যায় : ডিসি

চাঁদপুরে অভ্যন্তরীণ আমন সংগ্রহ উদ্বোধন

আমন সংগ্রহ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান। ছবি: ফোকাস মোহনা.কম

চাঁদপুর : চাঁদপুর খাদ্য বিভাগের আয়োজনে অভ্যন্তরীণ আমন সংগ্রহ-২০২৩-২৪ উদ্বোধন হয়েছে।

রবিবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে চাঁদপুর জেলা খাদ্য গুদামে আনুষ্ঠানিকভাবে সংগ্রহ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান।

তিনি বক্তব্যে বলেন, সংগ্রহের আনুষ্ঠানিকতা করা হয়েছে প্রচারের জন্য। মিডিয়ায় প্রচার হলে কৃষকরা জানতে পারবে। যেসব এলাকায় ধান বেশী উৎপাদন হয়, সেখান থেকে সরাসরি সংগ্রহ করতে পারলে কৃষকদের পরিবহন ভাড়াটা সমন্বয় হবে। এই বিষয়ে আমি বিগত জেলা প্রশাসক সম্মেলনে প্রস্তাব রেখেছি। এটি গ্রহন হলে সারাদেশের কৃষকরা সুবিধা পাবে।

জেলা প্রশাসক বলেন, হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদেরকেও মানবিক হতে হবে। অতিরিক্ত মূল্য পণ্য বিক্রি করে ব্যবসায়ীরা সাধারণ মানুষের কষ্টের কারণ হবে না। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কর্মকর্তারা খোঁজ নিয়েছেন পেঁয়াজের বিষয়ে। যারা আমদানি করেছেন তারা বলছেন তাদের মওজুদ শেষ। এখন আমাদের যাচাই করতে হবে আসলে কি মওজুদ আছে কিনা। লাভ-ক্ষতি নিয়ে ব্যবসা। অনেক সময় ব্যবসায় ক্ষতিও হবে।

তিনি বলেন, এ বছর জেলা প্রশাসন ৪০ হাজার শীতবস্ত্র (কম্বল) পেয়েছে। এসব কম্বল দেখা যাবে অনেকে একাধিক সংগ্রহ করবে এবং বিক্রি করে দেবে। আবার অনেকে লজ্জায় একটিও সংগ্রহ করতে পারবে না। কিছু মানুষ আছে তারা জেলা প্রশাসন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় এবং জনপ্রতিনিধি থেকে সংগ্রহ করে। এই আমাদের মন মানসিকতা এটির পরিবর্তন করা প্রয়োজন।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. শাহ্ জামাল এর সভাপতিত্বে অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য দেন-চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. সাফায়েত আহম্মদ সিদ্দিকী, খাদ্য গুদামের ম্যানেজার রবীন্দ্রলাল চাকমা, রাইস মিলস মালিক সমিতির সদস্য ফয়সাল আহমেদ চৌধুরী ও কৃষক প্রতিনিধি পৌর কাউন্সিলর মো. আলমগীর হোসেন।

এ সময় চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাখাওয়াত জামিল সৈকত, সিএসডি ইনচার্জ কমল কৃষ্ণ মাতাব্বরসহ ব্যবসায়ী ও কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন। সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের উচ্চমান সহকারী হাফেজ আহম্মদ।

সংগ্রহ করার জন্য আনা চালের আদ্রতা পরীক্ষা করে দেখেছেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানসহ কর্মকর্তারা। ছবি: শাহরিয়া পলাশ।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. শাহ্ জামাল বক্তব্যে বলেন, এ বছর জেলা সদর, হাইমচর, ফরিদগঞ্জ, মতলব দক্ষিণ, মতলব উত্তর, শাহরাস্তি ও কচুয়া উপজেলা সিদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ১৭১৮ মেট্টিক টন, আতপ চাল ৭৮০ মেট্টিক টন ও ধান ৮৩৪ মেট্টিক টন। সংগ্রহের মেয়াদ হচ্ছে-২৩ নভেম্বর থেকে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। জেলার ১৮টি অটো রাইস মিল লক্ষ্যমাত্রায় নির্ধারিত চাল সরবরাহ করবে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াত করেন সিএসডি মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. জহিরুল ইসলাম, গীতা পাঠ করেন সিএসডির ইনচার্জ কমল কৃষ্ণ মাতাব্বর এবং ত্রিপিটক পাঠ করেন সিএসডির ম্যানেজার রবীন্দ্রলাল চাকমা।

অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদেরকে আয়োজকদের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়।

ফম/এমএমএ/

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | ফোকাস মোহনা.কম