
—যুবক অনার্য
তোমাকে ছুঁয়েছি বেদনায়
তুমি সরিয়ে নিয়েছো হাত
বিমুগ্ধ কররেখা যেনো বা নগরজুড়ে
পড়েছে ডাকাত
কেউতো ছিলো না ছিলো না কিছুই
মাঠের শূন্যতা ঘিরে সূর্য নয় জোছনা নয় বাসনার মতো কোনো ভালোবাসা নয়
অন্ধকারের কাঁচুলি খুলে
এক অচেনা বিস্ময় দেখিয়ে দিয়েছিলো – সমস্ত শরীরে শুধু জরা
ক্ষয়িষ্ণু প্লাবন,বলেছে –
পাড়াময় কুমারী দহন হনন যন্ত্রণা,
বলেছে – নিয়মসিদ্ধ নয় এ সময়
করুণ কন্ঠস্বরে ডাকা, বলেছে -নিষেধ!
তোমাকে ছুঁয়েছি বেদনায়
যে -বেদনা নিসঙ্গ মানুষের মতো
দুয়ারে একলা দাঁড়িয়ে রয়, হয়তো বা
ঝড়ের আর্তনাদ তবু সে
দাঁড়িয়েই রয়
বিষন্ন অনুরাগে শপথের মালা নিয়ে করজোড়ে করে অনুনয়: আমি
দুয়ারে দাঁড়িয়েই চলে যাবো,
দেখবো না অন্দরমহলে তোমাদের
আলতারাঙা বধুদের-
এই যে বিলাসী নগর জ্বলজ্বলে উত্থান – এখানে বড়ো বেমানান আমি,
তাই বোঝাতে পারিনি কোনোভাবে –
বেদনার রঙ আর
নীল নয়, সেও রসিক বটে,তাই আজ
লাল হয়ে গেছে!
অগ্নিদগ্ধ জল জমে জমে
সমগ্র পাড়াগাঁয় এসেছে পার্বন
নবান্ন-কলরব।
রূপালি দিদির বিয়ে সম্বৎসর
মুখস্ত প্রশ্নের মতো ভেঙে যায়, তবু সে,
যে এই রুপালিদি – পার্বনে নেচে গেয়ে আনন্দে উছলে ওঠে আর সমস্ত পাড়াঘর ঘুমিয়ে গেলে তবে বুকের মধ্যে যেনো
জমানো কান্নার গুপ্ত অভিসার
রুপালি দিদির ;
ভিজে পড়ে বালিশের শিমুল তুলা
তুলতুলে সাদা,
ভেঙে পড়ে পুরনো জীবন।
রুপালিদি,তোমাকে ছুঁয়েছি বেদনায়
বেদনা ভালোবেসে ছুঁয়েছে তোমায়।
তুমি স্বর্গের কুমারী দেবী
ভীরু -তবু আমি নরকের দস্যু এক
প্রতিবার স্বর্গ থেকে ছিনিয়ে নি,
তোমাকে ছুঁয়ে দি বেদনায়।
বেদনা ভালোবেসে ছুঁয়েছে তোমায়-
তুমি সেই পবিত্র রূপালিদি
তোমার রূপালি বেদনার কাছে
প্রকৃতি কেবলি ঋণী হয়ে যায়!