বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুসকে চাঁদপুর-২ আসনের এমপি হিসেবে পেতে চায় তৃণমূল

বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস।

মতলব উত্তর (চাঁদপুর): চাঁদপুর-২ আসন থেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস। বর্তমানে তিনি মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হিসেবেও রাজনীতিতে সম্পৃক্ত আছেন তিনি।

বিগত প্রায় ৫০ বছর যাবৎ রাজনৈতিক জীবন পাড় করছেন এবং মতলবে তৃণমূল আওয়ামী লীগের রাজনীতি টিকিয়ে রেখেছেন এমএ কুদ্দুস। দলের দুর্দিনে তিনি ছিলেন তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আশ্রয়স্থল। সুখে দুঃখে কর্মীদের পাশে ছিলেন, খোঁজ খবর রেখেছেন এবং আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধী দল থাকাবস্থায়ও তিনি দলীয় কার্যক্রম চালিয়েছেন সাহসিকতার সাথে। যার ফরশ্রুতিতে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুসকেই সংসদ সদস্য হিসেবে পেতে চান উপজেলা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগে ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শাহজাহান প্রধান সম্প্রতি কয়েকটি সভা সমাবেশে বলেন, আমাদের বৃহত্তর মতলব তথা মতলব উত্তর উপজেলায় আওয়ামী লীগ টিকিয়ে রেখেছেন এমএ কুদ্দুস। দুঃসময়ে দলের হাল ধরে রেখেছেন। এবং কর্মীদের পাশে ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিদের্শনা মেনে দলীয় সকল কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস ভাই। তাই তিনি এমপি হওয়ার যোগ্যতা রাখেন সকলের আগে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক নুরুল আমিন বোরহান বলেন, আমি রাজনীতি শুরু থেকেই দেখছি কুদ্দুস ভাই আমাদের মতলবে আওয়ামী লীগের পরিচালনা করছেন। তিনি ছিলেন বিধাই আজ আমরা দলের নেতা হতে পেরেছি। সবচেয়ে বড় কথা হল তিনি দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন। দলীয় কার্যক্রম বাস্তবায়নে তিনি ছিলেন অত্যান্ত দৃঢ়। তিনি শুধু দলকে দিয়ে গেছেন। এবার আমরা এমএ কুদ্দুস ভাইকে এমপি হিসেবে দেখতে চাই। আশা করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দিবেন।

উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি মোহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, মতলবে আওয়ামী লীগ বলতে আমি একজনকেই বুঝি, তিনি হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস। তিনি আছেন বলেই মতলবে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ শতভাগ প্রতিষ্ঠা হয়েছে এবং টিকে আছে। আমি ছোট বেলা থেকে দেখেছি তিনি বৃহত্তর মতলবে যুবলীগ করছেন। পরবর্তীতে তিনি আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। আমি সুখে দুঃখে কুদ্দুস ভাইকে পাশে পাই। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমএ কুদ্দুস ভাইকে এমপি হিসেবে দেখতে চাই।

ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী সালাউদ্দিন বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস মানেই মতলবের আওয়ামী লীগ। তিনি না থাকলে হয়তো আওয়ামী লীগ এত সুন্দর ভাবে চলতো না। দলীয় কার্যক্রমে এবং যেকোন আন্দোলন সংগ্রামে এমএ কুদ্দুস ভাই আমাদেরকে নেতৃত্ব দেন। আগামী নির্বাচনে আমি আশা করি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তাকে দলীয় মনোনয়ন দিয়ে এমপি হিসেবে নির্বাচিত করবেন।

ইসলামাবাদ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস ভাইকে আমরা এমপি হিসেবে পেতে চাই। তাহলে আমি মনে করি মতলব উত্তরে দলীয় রাজনীতি আরো সুসংগঠিত হবে এবং শক্তিশালী হবে। যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দিলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে ভিশন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আরো অগ্রগতি হবে।

ছেংগারচর পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান খান বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস দাদা একজন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। বঙ্গবন্ধুর ডাকে তিনি যুদ্ধ করেছেন। তার পর থেকে মতলবে আওয়ামী লীগের রাজনীতি টিকিয়ে রাখতে যুদ্ধ করেই যাচ্ছেন। এমন সাংগঠনিক লোক যদি আগামী দিনে এমপি হয় তাহলে এই চাঁদপুর-২ আসনে কোন বিএনপি জামায়াত রাজাকার এবং স্বাধীনতা বিরোধীরা শিকড় গজাতে পারবে না। তাই আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাংবাদিকদের মাধ্যমে দাবী জানাই আগামী নির্বাচনে বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস দাদাতে নৌকা প্রতীক দিয়ে মনোনীত করা হোক। তাহলেই আমরা ভাল থাকবো, মতলবের জনগণ ভাল থাকবে এবং উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে।

এছাড়াও দূর্গাপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ’লীগের সাবেক সভাপতি নুরুজ্জামান সরকার দুলাল, সুলতানাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সফিকুল ইসলাম খন্দকার, সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান, জহিরাবাদ ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মহন, ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়ন যুবলীগের প্রচার সম্পাদক মাহবুব বেপারী সহ বহু নেতাকর্মী তাদের একই দাবী তুলে ধরেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস এর সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত তুলে ধরা হল: শিক্ষাগত যোগ্যতা বি. এ. পাশ। মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় নং- ০১১৩০০০২৫৮২। পিতা: আলহাজ্ব মো: রজ্জব আলী মুন্সী, সাবেক চেয়ারম্যান, (মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ, বাসস্থান ও খাবারের ব্যবস্থা করেছেন। মাতা: মরহুমা ফাতেমা, খাতুন (গৃহিনী), (মুক্তিযোদ্ধাদের খাবার ও রান্নার দায়িত্ব নিয়েছিলেন)। বড় ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আলহাজ্ব মুহাম্মদ আব্দুল হান্নান, সাবেক অতিরিক্ত সচিব, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। মেজ ভাই যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এম.এ. ওয়াদুদ- সাবেক সেনা কর্মকর্তা, অধিনায়ক ৭১ রনাঙ্গন, বার বার নির্বাচিত কমান্ডার, চাঁদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড। বড় বোন সুফিয়া খাতুন, বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নুল আবেদীন, সদস্য উপজেলা আওয়ামী লীগ, কচুয়া, চাঁদপুর। ২য় বোন: আফিয়া ভাতুন, বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলী, কাউন্সিলর পৌরসভা ও সভাপতি, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, মতলব পৌরসভা। ৩য় বোন: লতিফা ইয়াসমিন কনা, স্বামী গোলাম মোস্তফা সরকার, সদস্য- উপজেলা আওয়ামী লীগ, মতলব উত্তর, চাঁদপুর। ছোট ভাই সাজেদুল মালেক, জার্মান প্রবাসী, সদস্য- জার্মান আওয়ামী লীগ। কনিষ্ট তাই: সাজেদুল হাসান বাবু (বাতেন), আওয়ামী লীগ মনোনীন দুইবারের সফল চেয়ারম্যান, সাবেক ছাত্র নেতা তোলারাম কলেজ, সদস্য, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ।

স্থানীয় সরকার: সাবেক চেয়ারম্যান, ইসলামাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ, মতলব উত্তর, চাঁদপুর। আদর্শ: সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। রাজনৈতিক সাধারন সম্পাদক, ভিপি- গভঃ কমার্শিয়াল ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগ, ছাত্র-ছাত্রী সংসদ, মোহাম্মাদপুর, ঢাকা (১৯৭৪)। এরশাদ, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের হামলা ও অর্ধ শতাধিক মামলার আসামী হয়েছেন। সাংগঠনিক সম্পাদক, ঢাকা নগর ছাত্রলীগ (১৯৭৫)। আহ্বায়ক, আওয়ামী যুবলীগ, সাংগঠনিক সম্পাদক- আওয়ামী লীগ, বৃহত্তর মতলব থানা শাখা, চাঁদপুর (১৯৯০-২০০০)। যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাধারণ সম্পাদক- উপজেলা আওয়ামী লীগ মতলব উত্তর, সদস্য- চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ।

যুদ্ধক্ষেত্র: ১৮ অক্টোবর’৭১ ঘিলাতলী, মতলব, চাঁদপুর। ২৫ অক্টোবর’৭১ ষাটনল, মতলব, ১২ নভেম্বর একলাছপুর। ২০ নভেম্বর ৭১ ঐতিহাসিক গোয়ালমারী যুদ্ধ, দাউদকান্দি, কুমিল্লা। সামাজিক বহু সামাজিক সংগঠনে নিবিড়ভাবে জড়িত, অসহায় ও দুস্থ মানুষদের সহযোগিতা করা। প্রধান উপদেষ্টা- মতলব হেল্পলাইন। শিক্ষা: প্রতিষ্ঠাতা দাতা সদস্য- সুজাতপুর ডিগ্রি কলেজ, সভাপতি- সুজাতপুর নেছারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠাতা- সুজাতপুর কিন্ডার গার্টেন। ক্রীড়া ও প্রতিষ্ঠানে দান: সুজাতপুর ডিগ্রি কলেজ, সুজাতপুর নেছারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, কিন্ডার গার্টেন, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, ভূমি অফিস, ডাকঘর ও সুপেয় পানির জন্য দান করা হয়েছে প্রায় ৫.০০ (পাঁচ একর জমি, ৩ কোটি টাকার বেশি নগদ দান)। প্রতিরোধ কার্যক্রম: ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ, মাদকাসক্তি, সন্ত্রাস, অসামাজিক কার্যকলাপ প্রতিরোধ এবং নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থা বাস্তবায়ন ও পরিচালনা করে আসছেন। মাসনিক প্রশান্তি: সমাজে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন মানুষের মাঝে প্রচার করা। শখ: নৌকা ভ্রমণ, ঘুড়ে বেড়ানো, সিনেমা দেখা, পত্রিকা পড়া, বই পড়া, মানুষের কল্যাণে কাজ করা, অজানাকে জানা। সাংস্কৃতিক প্রধান উপদেষ্টা- বাংলাদেশ বাউল সমিতি। ক্রীড়া: সভাপতি আহরণী ক্রীড়া চক্র ও ও নাজমুল করিম ফুটবল গোল্ডকাপ টুর্নামেন্ট।

ভ্রমন- ভারত, ব্যাংকক, মালয়েশিয়া, সিংঙ্গাপুর, নেপাল, ভূটান, সুইডেন, জার্মান, ফ্রান্স, স্পেন, অস্ট্রিয়া, শ্রীলংকা, ইন্দোনেশিয়া, সমগ্র ইউরোপ ইতালি, সুইজারল্যান্ড, হল্যান্ড, বেলজিয়াম, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, পুর্তুগাল, ডেনমার্ক নিউজিল্যান্ড ও ক্রোসিয়া। সভাপতি- পানি ব্যবস্থাপনা ফেডারেশন এমডিআইপি ও জাতীয় পানি ব্যবস্থাপনা ফেডারেশন বাংলাদেশ, বাপাউবো। গর্ববোধ করেন একজন কৃষক হতে পেরে। পেশা: ব্যবসা। পারিবারিক জীবন: স্ত্রী- গৃহিনী, মেয়ে- অনার্স মাস্টার্স, ফ্যাশন ডিজাইনার। ছেলে- অধ্যায়রত কিংস কলেজ অব লন্ডন, সহ-সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ধর্মীয়: সভাপতি- সুজাতপুর বায়তুল নাযাত জামে মসজিদ, সুজাতপুর কেন্দ্রীয় মসজিদ, ঈদগাহ ও সাদুল্লাপুর সুফী দরবার। উপদেষ্টা- পূজা কমিটি ও হিন্দু, বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ, মতলব। বসবাস: প্রিয় নিজ গ্রামে।

নির্বাচন দায়িত্ব: ১৯৭০ সাল থেকে জাতীয় নির্বাচন সহ সকল স্তরের নির্বাচনে অদ্যাবধি আহ্বায়ক/যুগ্ম আহ্বায়ক ও অন্যান্য স্তরে থেকে নির্বাচনে সহযোগী ছিলাম। দিনের শুরু: ফজর নামাজ আদায়, তসবিহ তাররিফসহ পবিত্র কোরআন পাক পাঠ করা। অন্যান্য ধর্মালম্বীদেরকে সার্বিক সহযোগিতা করা।

ফম/এমএমএ/আরাফাত/

আরাফাত আল-আমিন | ফোকাস মোহনা.কম