
চাঁদপুর: ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষ্যে জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে চলচ্চিত্র প্রদর্শণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১১টায় গণি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, এদিনটি ঐতিহাসিক দিন। বাঙ্গালী জাতি এ দিনে জাতীয় ৪ নেতাকে শ্রদ্ধা ভরে স্মরন করে। বাঙ্গালী জাতির অনেক অর্জন ও গর্বের ইতিহাস রয়েছে। ১৭৫৭ সালে বাঙ্গালীর স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়। বাঙ্গালী জাতি কখনই স্বাধীন ছিল না। বঙ্গবন্ধু বঙ্গালী জাতিকে স্বাধীনতা এনে দেন। ৬ দফার উপরেই স্বাধীনতার সকল কিছু উল্লেখ ছিল। ৭০ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ নিরুঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও বাঙ্গালীকে ক্ষমতা দিল। তারপরই বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষন দেন। যা আজ বিশ্ব ঐতিহ্যে স্থান পেয়েছে। অনেক নেতা ছিল কিন্তু বঙ্গবন্ধুর মতো এ ত্যাগী নেতা বাংলায় ছিল না আর জন্মাবেও না।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় ৪ নেতাকে জেলের মধে হত্যা করা হয়। জিয়াউর রহমান একটি সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার ছিল। তিনি জিয়াউর রহমান ছিল সরকারের কর্মচারী। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর মিথ্যা ইতিহাস রচিত করে বলা হচ্ছে জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে পাকিস্থানী ভাবধারায় রাষ্ট্র পরিচালনা করে। তিনি ও খালেদা জিয়া জামায়তের নেতাদের ক্ষমতায় বসিয়ে মন্ত্রী বানায়।
জেলা তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনির হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম দুলাল পাটওয়ারী।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বৈদনাথ তলায় আম্র কাননে বাংলাদেশের মাটিতেই মুজিব নগর সরকার গঠিত হয়।
মুজিব নগরের আন্ডারে ১১টি সেক্টর গঠন করা হয়। নৌ কমান্ড ছিল ১০ নম্বর সেক্টরে। আমি দেখেছি সেসময় শিক্ষকরা ১২টা বেতন পেত। আজকে আপনারা বেতন পান। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে আওয়ামী লীগ যা করেছে তা অন্য কোন সরকার করেনি।
গণি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাজির আহমেদের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ সাহাব উদ্দিন ও গণি মডেল উচ্চ বিদ্যাণয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্বাস উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।
ফম/এমএমএ/