চাঁদপুর: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও শিশু দিবস এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ৭ দিনব্যাপী মুক্তির উৎসব ও সুবর্ণজয়ন্তী মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
বুধবার (২৩ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৪টায় চাঁদপুর স্টেডিয়ামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) অঞ্জনা খান মজলিশ। তিনি বলেন, মার্চ মাস আমাদের জন্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস। এমাসটি আমরা অনেক সুন্দরভাবে উদযাপন করছি। মুক্তির উৎসব ও সুবর্ণজয়ন্তী মেলায় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরবর্তমান সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরেছেন।ইতিমধ্যে বক্তারা সরকারে উন্নয়ন নিয়ে অনেক বক্তব্য রেখেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এদেশ উন্নয়নে শিখরে পৌঁছে যাচ্ছে।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে যুবকদের শক্তি কাজে লাগাতে হবে। দেশ প্রেমিক হতে হবে। দেশকে ভালোবাসতে হবে। রাতারাতি কিছু হতে চাইলে তা খারাপের দিকে চলে যায়। রাতারাতি কিছু হওয়া যায় না। পরিশ্রম করতে হবে। বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ হতে হবে। স্ব-স্ব স্থান থেকে নিজের দায়িত্ব পালন করতে হবে। সঠিক ভাবে মানুষের সেবা করতে হবে।
৭ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে নিরলশভাবে সহযোগিতা করায় সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মিলন মাহমুদ বিপিএম (বার)। তিনি বলেন, বাঙ্গালী জাতির একটি গুরুত্বপূর্ণ মাস। সবদিক দিয়েই মার্চ মাসটি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশ কোথার থেকে কোথায় গিয়েছে এটা প্রায় সবাই জানে। গতকাল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শতভাগ বিদ্যুৎ এর উদ্বোধন করেছেন। একসময় হারিকেন দিয়ে পড়াশুনা করতাম আর সেই অবস্থা থেকে আমরা এখন বিদ্যুৎের মাধ্যমে পড়াশুনা করি। একসময় ডিম এনে চার ভাগ করে খেতাম কিন্তু সেই অবস্থা থেকে আমরা উন্নয়নের দোড় গোঁড়ায় পৌঁছে গেছি। আমাদের আরো সামনে এগুতে হবে। ২০৪১ সালের আগেই আমরা উন্নত দেশে রূপান্তরিত হতে পারবো। আমরা আমাদের আবিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে যাবো।
সাংবাদিক এমআর ইসলাম বাবু’র সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল,
এছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, এনএসআই এর উপ-পরিচালক শাহ আরমান আহমেদ, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহকারি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াকুব আলী মাস্টার, বিশিষ্ট ছড়াকার ডা. পিযুষ কান্তি বড়ুয়া প্রমূখ।
আলোচনা সভা শেষে ৭ দিনব্যাপী মেলায় বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এছাড়াও মেলায় অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন স্টলকে মূল্যায়ন করা হয় এবং মূল্যায়িত স্টলদাতাদের মাঝে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন জেলা প্রশাসকসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।
ফম/এমএমএ/