বঙ্গবন্ধু সেদিন স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করায় বাঙালী জাতি পূর্ণ স্বাধীনতা পেয়েছিল : এমপি রুহুল

ছবি: ফোকাস মোহনা.কম

মতলব উত্তর (চাঁদপুর): জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১০ জানুয়ারি) বিকালে উপজেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব অ্যাড. নুরুল আমিন রুহুল।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শাহজাহান প্রধানের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম মাস্টার, শহীদ উল্লা প্রধান, গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মনোয়ারুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব আলী গাজী, কবির হোসেন মাস্টার, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন খান সুফল, উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক নুরুল আমিন বোরহান, সদস্য বাবু রাধেশ্যাম সাহা চান্দু, জাহাঙ্গীর মোঃ আদেল, আওয়ামী লীগ নেতা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কাজী মিজানুর রহমান, ছেঙ্গারচর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান কাইয়ুম চৌধুরী, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি দেওয়ান জহির, সহ-সভাপতি কামরুজ্জামান ইয়ার, প্রচার সম্পাদক রেফায়েত উল্লা দর্জি, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক অ্যাড. মহসিন মিয়া মানিক, ফতেপুর পুর্ব ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী সালাউদ্দিন, উপজেলা যুবলীগ নেতা মিরাজ খালিদ, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আবু হানিফ অভি, মোঃ সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি নুরুল আমিন রুহুল বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেতাম না। তিনি জীবন বাজি রেখে বাঙালী জাতির জন্য দেশ স্বাধীন করেছেন। পাকিস্তানী রাজাকারা বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসি দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আমাদের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু বলেছিল আমাকে ফাঁসি দিবা ঠিক আছে, কিন্তু আমার মৃতদেহটা বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিও। এই কথা শুনে বিশ্ব নেতারা পাকিস্তানীদের চাপ প্রয়োগ করেছে যাতে বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসি না দেয়। পরে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারী বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেদিন স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন বিধাই বাঙালী জাতি একটি পুর্ণ স্বাধীনতা পেয়েছিল। তিনি আরও বলেন, সেই পাকিস্তানী রাজাকার এখনো মাথা চাড়া দিতে চায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন সহ্য করতে পারে না। তাই তাদের থেকে সাবধান থাকতে হবে এবং প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।

আলোচনা সভা শেষে মিলাদ ও দোয়া পরিচালনা করেন উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আখতার হোসেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস এর শারীরিক সুস্থতার জন্য দোয়া করা হয়।

ফম/এমএমএ/

আরাফাত আল-আমিন | ফোকাস মোহনা.কম