
চাঁদপুর: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের নতুন আবিষ্কার ‘বঙ্গবন্ধু ব্রি-১০০’ ধান এখন শোভা পাচ্ছে চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার বোরো ক্ষেতগুলোতে। কেউ ব্যক্তিগত আবার কেউ বীজ উৎপাদনের লক্ষে এ ধানের আবাদ করেছেন। ভাল ফলনের আশায় এ ধানের আবাদ নিয়ে রঙিন স্বপ্ন চাষিদের চোখে।
কৃষি বিভাগ ও বীজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বলছে, এতে রোগবালাই ও পোকামাকড় আক্রমণের পরিমাণ কম হওয়ায় অনেক কৃষকই ঝুঁকবেন এই ধান আবাদে।
কচুয়া উপজেলায় ২০২১-২০২২ অর্থবছরের রাজস্ব খাতের অর্থায়নে প্রদর্শনী বাস্তবায়নে পরীক্ষামূলক চাষাবাদ করার লক্ষে হাশিমপুর গ্রামে কৃষক আব্দুস সালাম প্রায় ৩৩ শতক জমিতে আবাদ করেছেন। ফলন ভালো হওয়ায় সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি অফিস। ওই ৩৩ শতক জমিতে ‘বঙ্গবন্ধু ব্রি-১০০’ জাতের ধানের প্রদর্শনী প্লট করেছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।
কৃষক মো. আব্দুস সালাম বলেন, এই ব্লকে কৃষি বিভাগ সার, বীজ ও কারিগরি সহায়তা দিয়ে আমাকে সহযোগিতা করছে। রোগবালাই ও পোকামাকড় আক্রমণের পরিমাণ কম হওয়ায় বঙ্গবন্ধু ব্রি-১০০ ধান আবাদে আগ্রহী হচ্ছেন অনেক কৃষক।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু জাতের ধানের ফলন বিঘায় ৩০ থেকে ৩৪ মণ। এবার বীজ ও সার পেয়েছি। আশা আছে সামনের বার এ ধান চাষ আরো বেশি করে আবাদ করব।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম লিটন বলেন, বঙ্গবন্ধু ধান ১০০-এর জীবনকাল ১৪৮ দিন, যা ব্রি ধান-৭৪’র প্রায় সমান। গড় ফলন ৭ দশমিক ৭ টন প্রতি হেক্টর। উপযুক্ত পরিচর্যা পেলে অনুকূল পরিবেশে হেক্টর প্রতি ৮ দশমিক ৮ টন পর্যন্ত ফলন হয়ে থাকে। এ বছর কচুয়াতে পরীক্ষা মুলক হাশিমপুর ব্লকে প্রায় ৩৩ শতাংশ জমিতে বঙ্গবন্ধু ধান ১০০-এর চাষাবাদ করা হয়েছে।
উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. সোফাফেল হোসেন ফোকাস মোহনাকে বলেন, জিংক সমৃদ্ধ এই ধান মানবদেহে জিংকের অভাব পূরণে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়। চাল মাঝারি চিকন ও সাদা। জিংকের পরিমাণ প্রতি কেজিতে ২৫ দশমিক ৭ মিলিগ্রাম। চালে অ্যামাইলোজ ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ এবং প্রোটিন ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। অনেক চাষিরা তার কাছ থেকে আগামী বছর থেকেই বীজ সংগ্রহ করতে পারবেন। অনেক চাষি এরই মধ্যে বীজ নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
ফম/এমএমএ/