চাঁদপুর: জেলহত্যা দিবসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় ৪ নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। সারাদেশে আজ যথাযথ মর্যাদায় পালন করা হচ্ছে ৩ রা নভেম্বর শোকাবহ জেল হত্যা দিবস।
জেলা আওয়ামীলীগের দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার (৩ নভেম্বর) সকাল ৮ টায় চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় জাতীয় পতাকা, দলীয় পতাকা ও কালো পতাকা উত্তোলন করেন নেতৃবৃন্দ।
বাঙালি জাতির ইতিহাসের মহানায়ক স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং ৩ রা নভেম্বর জেলহত্যা দিবসে জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন সরকার, দপ্তর সম্পাদক মোঃ শাহ আলম মিয়া, উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম সালাউদ্দিন, পৌর আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন ভূঁইয়া, পৌর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ বাদল গাজী, ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীর হোসেন প্রমূখ।
জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল বলেন, জাতির পিতার আজীবন রাজনৈতিক সহচর জাতীয় ৪ নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন (অব.) মুনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামানকে এই দিনে জেলখানার অভ্যন্তরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। মানবতাবোধের চরম নির্মমতা ও নিষ্ঠুর সাক্ষী হচ্ছে ৩ রা নভেম্বর জেলহত্যা দিবস।
দেশের আপামর জনতা যাদের নেতৃত্বে ও নির্দেশে এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে মাত্র ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে এদেশেকে স্বাধীন করেছিল। যারা মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিব নগর সরকারের বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করে এদেশের জনগণকে একত্রিত করে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে বেগবান করে বিজয়ের পতাকা উঠিয়ে ধরেছে সেই চার নেতাকে চরম নির্মমতার স্বাক্ষর রেখে ৩ নভেম্বরে হত্যা করা হয়।
বাংলার জনগণ মহান মুক্তিযোদ্ধ পরিচালনাকারী, স্বাধীন বাংলাদেশের সরকারের প্রথম রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনকারী উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ, অর্থমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এম. মুনসুর আলী, খাদ্য ও ত্রাণ মন্ত্রী এ এইচ. এম কামারুজ্জামানকে আজীবন স্মরণ করবে। সেই থেকে ৩ নভেম্বর দিনটি বাঙালি জাতির জীবনে একটি কলংকময় দিন।
ফম/এমএমএ/
