চাঁদপুর: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সরকারি শিশু পরিবার ও বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিশুদের নিয়ে কেক কাটা ও মিষ্টান্ন বিতরণ করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় সরকারি শিশু পরিবার হলরুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান।
তিনি বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু যদি না জন্মাতেন তাহলে আমরা স্বাধীনতা পেতাম না এবং এখানে বসে কথা বলতে পারতাম না। তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন এদেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করা। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা সেই স্বপ্ন পূরণ করছেন। এদেশকে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে সবধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন। আমরা স্বপ্ন দেখি এদেশের গড় আয় হবে প্রায় দেড় লাখ টাকা। আমরা সেই বাংলাদেশে যেতে চাই যে বাংলাদেশে কোন বৈষম্য থাকবে না। সেই বাংলাদেশ দেখতে চাইলে তোমাদের বেশি বেশি পড়তে হবে। যতবেশি পড়বে ততবেশি সম্মৃদ্ধশালী হবে। সবাই সাবলম্বী হতে হলে নিজেকে ভালো জায়গায় সুপ্রতিষ্ঠিত করতে হবে। আমরা তোমাদের অভিভাবক হিসেবে তোমাদের সবসময়ই ভালো চিন্তা করি। বঙ্গবন্ধুর মৌলিক গুণাবলী এবং তাঁর আদর্শকে তোমাদের বুকে লালন করতে হবে। ভালো মানুষ হতে হলে একজন আইকন রাখতে হবে।
জেলা প্রশাসক বলেন, আমার কোন সুযোগ পেলেই এখানে চলে আসি। আর এখানে আসলেই আমি বিশুদ্ধ হয়ে যাই। আমার নিজের বাচ্চাদের যেমন ভালোবাসি ঠিক তেমনই আমি এখানের ছেলে মেয়েদের ভালোবাসি।
জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক রজত শুভ্র সরকারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসকের সহধর্মিণী আসমা উল হুসনা।
উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইমতিয়াজ হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ, সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মিয়া ফিরোজ আহমেদ খান, সরকারি শিশু পরিবারের তত্ত্বাবধায়ক আল্পনা চাকমা।
সমাজসেবা অফিসার (নিবন্ধন) মো. মনিরুল ইসলাম ও সরকারি শিশু পরিবারের শিশু জান্নাত আক্তারের যৌথ সঞ্চালনায় শিশুদের পক্ষ থেকে বক্তব্যে অংশ নেয় শিশু রহিমা আক্তার ও নাহিদ হোসেন।
আলোচনা সভার পূর্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর জন্মদিন উপলক্ষে সরকারি শিশু পরিবার ও বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিশুদের নিয়ে কেক কাটেন জেলা প্রশাসকসহ অতিথিরা এবং শিশুদের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
আলোচনা সভা শেষে সরকারি শিশু পরিবারের শিশুদের পরিবেশনায় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
ফম/এমএমএ/