চাঁদপুর: লবি রহমান কুকিং ফাউন্ডেশন চাঁদপুর শাখার প্রেসিডেন্ট ও ‘বিজয়ী’ এর প্রেসিডেন্ট এবং নারী উদ্যোক্তা শারমিন আক্তার জুঁই নানান কর্মকান্ড নিয়ে লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন।
শনিবার (২ এপ্রিল) সকালে লিখিত আকারে অনলাইন পোর্টাল ফোকাস মোহনা ডট কম এর কাছে তার এ বক্তব্য প্রকাশ করেন।
বক্তব্যে তিনি তার নাম ও পদবি উল্লেখ করে বলেন, চাঁদপুরের প্রথম ও একমাত্র নারী ফুড ব্লগার তানজিলাল রহমান জুম্মিকে নিয়ে মিথ্যা ডায়েরি করা হয়। ২০২২ সালে তানিয়া খানের বিজয়ী সংগঠনে আমাকে আশিক খান অনুরোধ করে প্রেসিডেন্ট পদে যুক্ত করে। পরবর্তীতে সংগঠনটি আমার কারণে এতোটা সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে, আমার কারণে বিভিন্ন কোর্স, ট্রেনিং চালু হয়েছে। ১ম ছিল ‘ Attitude & etiquette’ 15/01/2022 ২য় ছিল ‘Advance skin care and healthy lifestyle’ -20/01/2022 ৩য় ছিল ‘Work & Life balance’ 04/02/2022 ৪র্থ ছিল “Communicative English spoken & building Network skills for Entrepreneurs’ 20/02/2022 আমি এই সংগঠনের নতুন লোগো এবং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন সকল ব্যক্তিবর্গকে দিয়ে স্কিল ডেভলপমেন্ট ট্রেনিং শুরু করেছি। ২০২২ নারী উদ্যামী মেলায় আমি প্রেসিডেন্ট হিসেবে উদ্যামী নারীদের জন্য বিজয়ী সংগঠনের নামে ২টা স্টল নিয়েছি। কিন্তু উদ্বোধনের প্রথম দিনই আমাকে টার্গেট করে কিছু অপ্রত্যাশিত কাজ করা হয়, যা দেখে আমি এবং আমার স্টলের উদ্যোক্তারা খুবই কষ্ট পাই এবং এ ঘটনা থেকেই তানজিলাল রহমান জুম্মিসহ বাকি সদস্য তানিয়া ইশতিয়াক খানের বিজয়ী সংগঠন থেকে চলে আসে।
তিনি বলেন, পরবর্তীতে সকল উদ্যোক্তার অনুরোধে ও দায়িত্বের দায়বদ্ধতার কারণে আমি নতুন সংগঠন খুলি, যার নাম আমি দেই ‘ বিজয়ী’। কিন্তু তানিয়া অপপ্রচার চালায় যে, আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এমনকি তানজিলাল রহমান জুম্মি প্রথম থেকে সংগঠনে থাকতে চায়নি, তাকেও একপ্রকার জোর করেই রেখেছিলো। তানিয়া নিজের খাবারের ব্যবসা প্রসারের জন্য এবং প্রায়ই তার বাসায় খাবার পাঠানো হতো রিভিউ দেয়ার জন্য। তানিয়া ইশতিয়াক খানের এ ব্যবহারে কষ্ট পেয়ে তানজিলাল রহমান জুম্মি এবং বাকি সকল মেম্বার তার বিরুদ্ধে ফেসবুকে পোস্ট করে, আমি যে ব্যাপারটায় অবগত ছিলাম।
শারমিন আক্তার জুঁই বলেন, তানিয়া ইশতিয়াকের সংগঠন থেকে আলাদা হয়ে আমরা আমাদের কাজে এগোচ্ছিলাম, কিন্তু বার বার আমাদের কাছে তানিয়া ইশতিয়াক ও আশিক খান বাধা প্রদান করে। তানিয়া এবং আশিক খান আমাদের বার বার হুমকি দেয় যে, আমাদের এসএমই মেলা শেষ হলে দেখে ছাড়বে। কিন্তু আমি আমার মেধা, শ্রম ও বুদ্ধি দিয়ে সুন্দরভাবে মেলা সম্পন্ন করেছি এবং আলহামদুলিল্লাহ আমাদের সংগঠন ‘ বিজয়ী’র নামের সার্টিফিকেট আমার নামেই এসেছে। আমার সংগঠনের সদস্যদের আমার প্রতি ভালোবাসা ও আন্তরিকতা থেকে তানিয়া ইশতিয়াক খানের হিংসা-বিদ্বেষ শুরু। তারপরও আমি ভদ্রতার খাতিরে এবং যথেষ্ট রুচিসম্মত মানুষ হওয়ায় এসব নিয়ে কোনো প্রকার মাতামাতি করিনি। কিন্তু তারা গত কয়েকদিন আগেই একটি মেডিক্যাল ক্যাম্প করে, যেখানে আমার বানানো লোগো ও ব্যানার ব্যবহার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করে। এ ব্যাপার নিয়েও আমাদের সদস্যরা প্রতিবাদ জানান দেয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। কিন্তু তারপরও তারা থেমে থাকেনি। তারা আমার তৈরি লোগো দিয়ে চাঁদপুরের কমিটি ডিক্লারেশান দেয় এবং যাদের নাম কমিটিতে রেখেছে তারা কেউ এ বিষয়ে জানতই না যে, তাদেরকে কমিটিতে রাখা হয়েছে।
আমি বার বার তাদের অনুরোধ করেছি, আমার লোগো ব্যবহার না করতে, তাদের লাল সাদা লোগো ব্যবহার করতে, কিন্তু তারা সেটা করেনি। তিনি আরো বলেন, তানিয়া খান ও আশিক খান পদে পদে উস্কানিমূলক উক্তি করে, যাতে করে আমার সদস্যরা ক্ষেপে যেতো। পরবর্তীতে আমি চাদঁপুরের এসপি মহোদয়ের কাছে জরুরি ভিত্তিতে অনুমতি ছাড়া লোগো আর ব্যানার ব্যবহারের জন্য সাধারণ জিডি করি।কিন্তু তারপরও তানিয়া খান ও আশিক খানের নোংরামি থেমে থাকেনি। আমাদের সংগঠনের ৩১ মার্চ ৫ম ট্রেনিং ছিলো “Boost Your Energy” নিয়ে এবং সেই ট্রেনিংয়ের সময়ই তানিয়া ইশতিয়াক খান আমার সংগঠনের সদস্যদের কাছে তানজিলাল রহমান জুম্মির নামে করা মিথ্যা অভিযোগের পেপার কাটিং পাঠায়। যেখানে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট কথা লিখা হয়েছে আমার সদস্যের নামে, যাতে আমি হেনস্তা হই। কিন্তু এত ঝড়ের মধ্যে আলহামদুলিল্লাহ সর্বোচ্চ সংখ্যক (৩০জন) সদস্য নিয়ে আমি ট্রেনিংটি সম্পন্ন করাই। আশিক খান আমার ছোটবেলার বন্ধু ছিলো, সে কথা চিন্তা করেই তার এবং তানিয়ার নোংরামি নিয়ে আমি কোনো রকম প্রেস ব্রিফিং কিংবা হুমকিমূলক মেসেজ দেই নি তাদের।
যেহেতু আমি প্রেসিডেন্ট ছিলাম, আমি আমার কাজ নিয়েই আলাদা হয়ে এসেছি। আমি কারো প্ররোচনায় পড়ে আলাদা হইনি, আমার শ্রম ও অর্থায়নে করা লোগো আমি আমার বলে দাবি করতে পারি, সে অধিকার আমার আছে। আমার কাছে এই পিনস্টার লোগোর রিয়েল কপিও আছে। কিন্তু আজকে আমি বাধ্য হয়ে প্রেস ব্রিফিং দিলাম, কারণ আমার সংগঠনের সদস্যদের নামে ভুয়া অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে। এ সকল বিষয় আমি চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মহোদয়, এসপি মহোদয়, চাঁদপুর কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক কাজী শাহাদাত, চতুরঙ্গের হারুন অর রশীদকে অবগত করেছি। আমি এই মিথ্যা অভিযোগের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ দিতে প্রস্তুত আছি।
ফম/এমএমএ/