এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, ফরাজীকান্দি উয়েসিয়া দরবার শরীফের পীর সাহেব আল্লামা শায়খ সাইয়্যেদ মাসউদ আহমেদ বোরহানি।
বাগাদি দরবার শরীফের পীরজাদা আল্লামা মাহফুজ উল্যাহ ইউসূফীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, মদনা দরবার শরীফের পীরজাদা মুফতি শাহ কাউসার আহমেদ, হাফেজ মাও. মুফতী মহিউদ্দিন সালেহী, হাফেজ মাওলানা মুসলেহ উদ্দিন সালেহী, শিদলাই দরবারের পীর আল্লামা রুহুল আমিন সালেহী।
মাও. আমিনুল ইসলাম সালেহীর সঞ্চালনায় মানবন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মাও. মামুনুর রশিদ খাঁন নুরী, কাজী মাও. ওয়ালীউল্লাহ ভূঁইয়া, মাও. মুফতী বাকী বিল্লাহ, মাওলানা আনোয়ার হোসেন আল কাদেরী, মাও. নেয়ামত উল্যাহ আল কাদেরী, মাও. মহিউদ্দিন বিন ইসমাইল, অধ্যক্ষ মাও. কাজী ইসমাইল বিন কাসেম, অধ্যক্ষ মাও. ওমর ফারুক, মাওলানা আশিকুর রহমান চিশতী ও মাও. বেলাল হুসাইন চিশতী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সম্প্রতি ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধ অভিযানে আমরা সংহতি ও সমর্থন জানাই। মাজলিসুল ওয়ায়েজীন মনে করে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ফিলিস্তিন ইস্যুতে পাশে থাকা দরকার। নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের প্রাণহানিতে আধুনিক বিশ্বের নীরবতায় সমবেদনা জানাই। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ইহুদিবাদীদের দ্বারা ফিলিস্তিন ভূমির দীর্ঘ সময়ের দখলকে যুক্তি ও প্রজ্ঞার সঙ্গে দেখার দাবি জানাই। এটি ইতিহাসে কলঙ্কজনক।
বক্তারা বলেন, ফিলিস্তিন ও আকসা আমাদের সমগ্র মুসলিম উম্মাহর আবেগের জায়গা। সুতরাং অবিলম্বে এ হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে হবে। না হলে ইসরাইলকে এর চরম মাশুল দিতে হবে। আল আকসা ও ফিলিস্তিন আমাদের মুসলমানদের, এতে কারো অংশিদারিত্ব নেই। সুতরাং কোন অমুলক দাবি নিয়ে আল আকসার সম্মানহানি ও ফিলিস্তিনিদের উপর হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত রাখলে এর কঠিন জবাব দেয়া হবে।
বক্তারা আরো বলেন, আল আকসার পবিত্রতা রক্ষা ও ফিলিস্তিনিদের অধিকার আদায়ে বিশ্বের প্রতিটি কন্ঠে আওয়াজ উঠুক ফিলিস্তিন জিন্দাবাদ দখলদার ইসরাইল নিপাত যাক। এখনি সময় এসেছে মুসলিম উম্মাহর ঐক্যবদ্ধ হওয়ার তাই আসুন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সম্মিলিত উদ্যোগ নেই। ইসরা ও মীরাজের সুতিকাগার আল আকসা ও ইসলামের ইতিহাসের গুরুত্বপুর্ণ ঘটনার স্বাক্ষী ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ফিরিয়ে দিতে হবে। আল আকসা আমাদের প্রথম কিবলা কাবাতুল মুশাররফার ইজ্জত রক্ষায় যেভাবে আবাবিল এসেছিল ঠিক বর্তমানেও যদি প্রয়োজন হয় আল আকসার ইজ্জত রক্ষায় সমস্ত বিশ্বের মুসলমান আবাবিলের ভুমিকায় ঝাপিয়ে পড়বে। ৫৭ টি মুসলিম রাষ্ট্র যদি এক্যবদ্ধ হয় জেরুজালেম ইসরাইলের রাজধানী নয় কবরস্থানে পরিণত হবে ইনশাআল্লাহ।
মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহর পদক্ষিণ করে হাসান আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে চাঁদপুরের বিভন্ন উপজেলা থেকে আগম ইমাম ওলামা, মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ও সাধারণ মুসল্লীগণ ফিলিস্তিনিদের জন্য দোয়া মুনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।