
চাঁদপুর: পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো দুই দিন ব্যাপি পবিত্র কোরআন ও নাতে রাসুল প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান। সময় টেলিভিশনের প্রতিবেদক ফারুক আহম্মদের বাবা ও মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত ফিরোজা-কলিম একাডেমি ও ফাউন্ডেশনের আয়োজনের প্রথম দিনে ফিরোজা-কলিম মঞ্চে ফরিদগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ করে।
এতে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও নাতে রাসুল এই দুইটি বিভাগের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে ফিরোজা-কলিম মঞ্চে প্রতিযোগীদের মধ্যে প্রতি বিভাগের সেরা তিনজনের নাম ঘোষণা করা হয় এবং বিজয়ীদের মাঝে নগদ অর্থ সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়।
ফলাফল ঘোষণা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ফিরোজা-কলিম একাডেমি ও ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সংগঠক ফরিদ আহমেদ রিপন।
এসময় বলেন, বাবা মায়ের স্মৃতি রক্ষায় এবং তাদের রূহের মাগফিরাত কামনা করতে আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। আরো কিছু সামাজিক ও মানবিক কাজের জন্য ফিরোজা-কলিম একাডেমি ও ফাউন্ডেশন গড়ে তোলার লক্ষ্য জানিয়ে তিনি বলেন, এবারের অনুষ্ঠানের ন্যায় ফিরোজা-কলিম একাডেমি ও ফাউন্ডেশন আগামী দিনগুলোতেও এমন আরো মহতি আয়োজন করবে।
এদিকে এই আয়োজন যারা বিজয়ী হয়েছে এবারের ঈদ উদযাপনে পুরস্কার হিসেবে প্রাপ্ত অর্থ অনেকটা সহায়ক হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন,ফখরুল ইসলাম মিলন, ফেরদৌস আলম শুশান, জুবায়ের আলম জিসান, তানজিল আলোসহ অন্যান্যরা।
দুই বিভাগের নির্বাচিত সেরা ৬ জন হলো, নাতে রাসূল প্রতিযোগীতা প্রথম স্থান অর্জন করেছেন ধানুয়া সালেহিয়া ফাযিল মাদ্রাসার আল-আমিন, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন ফরিদগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মুমতাহিনা, তৃতীয় স্থান ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদরাসা জুবায়ের আল মাহি।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতে নির্বাচিত সেরা তিনজন হলেন, প্রথম স্থান অর্জন করেছেন,রূপসা আহম্মাদীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের জুবায়েরুল ইসলাম, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন ধানুয়া সালেহিয়া ফাফিল মাদ্রাসার মনিরুল ইসলাম রাজু এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করছেন ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদ্রাসার জিহাদ হোসাইন। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও প্রতিযোগিদের অভিভাবকরাও উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, সময় টেলিভিশনের চাঁদপুর প্রতিবেদক ফারুক আহম্মদের বাবা মুহাম্মদ কলিমউল্লাহ ছিলেন পূর্ব পাকিস্তান মডেল সার্ভে ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক। একই সঙ্গে এলাকায় স্কুল কলেজ প্রতিষ্ঠা, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কাজের অন্যতম উদ্যোক্তা। শুধু তাই নয়, মহান মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সার্বিক সহযোগিতায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন তিনি। তাঁর সহধর্মিণী ফিরোজা বেগম লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুরের সম্ভ্রান্ত লুধুয়া ভূঁইয়া পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা সেরাজুল হক ভূইয়া ছিলেন ভুলুয়া স্টেটের সবশেষ জমিদার।
বিগত ১৯৮৩ সালের ১৭ জুলাই মুহাম্মদ কলিমউল্লাহ এবং ১৯৯৪ সালের ২৫ মে তাঁর সহধর্মিণী ফিরোজা বেগম মৃত্যুরবণ করেন। তাদের স্মৃতি রক্ষায় গড়ে তোলা হয়, ফিরোজা-কলিম একাডেমি ও ফাউন্ডেশন।
ফম/এমএমএ/