ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর): চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুই রোগীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে । স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দালাল স্বপনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডেঙ্গু ওয়ার্ডের মহিলা ইউনিটে এই মারধরের ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার রোগীরা হলেন ফরিদগঞ্জ পৌরসভার শাহাপুর গ্রামের শাহিনা বেগম এবং রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের কাউনিয়া গ্রামের রওশনারা বেগম।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের কয়েকজন স্টাফ জানান, স্বপন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি হাসপাতালে অন্যায়ভাবে প্রভাব খাটান। তাঁর পরিচিত রোগীর পক্ষ নিয়ে প্রায় হাসপাতালের নার্সদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। দালালদের দৌরাত্ম্য অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন রোগী ও হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
মারধরের শিকার শাহিনা বেগম বলেন, গতকাল রাত ১০টার দিকে আমার স্যালাইন শেষ হয়ে গেলে কর্তব্যরত নার্স সালেহা বেগমের কাছে যাই। ওই সময় কোনো একটা বিষয় নিয়ে নার্সের সঙ্গে স্বপনকে তীব্র বাজে ব্যবহার করতে দেখি। আমি নার্সকে কিছু না বলেই আমার বেডে ফিরে আসতে যাচ্ছিলাম। এ সময় আমি মুখ ফসকে বলে ফেলি, এটা মানুষের আচরণের মধ্যে পড়ে না। এতে সে (স্বপন) ক্ষিপ্ত হয়ে মহিলা ইউনিটে প্রবেশ করে একাধিকবার আমাকে এলোপাতাড়ি চড়থাপ্পড় দেয়।
শাহিনা বেগম আরও বলেন, আমার ভাই, ভাবিসহ পাশের রোগীরা এগিয়ে এলে তাঁরাও মারধরের শিকার হন।
পাশের বেডের রোগী রওশনারা বলেন, শাহিনাকে মারধর শুরু করলে আমি তাঁকে আগলে রাখতে গেলে আমিও স্বপনের এলোপাতাড়ি মারধর করে।
এ বিষয়ে স্বপনকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ঘটনাটি আপনারা যেমন শুনেছেন পুরোপুরি তেমন না। আপনাদের সঙ্গে বসে কথা বলতে হবে।
নার্স ইনচার্জ ফারজানা আক্তার বলেন, রোগীকে মারধরের ঘটনাটি সত্য। স্বপন প্রায়ই বিভিন্ন রোগীর পক্ষ হয়ে হাসপাতালে এসে নার্সদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। আমরা প্রতিনিয়তই নিরাপত্তা ঝুঁকিতে আছি। বিষয়টি আমরা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মহোদয়কে জানিয়েছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসাদুজ্জামান জুয়েলের কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে রোগীর স্বজনদের থেকে আমি অভিযোগ পেয়েছি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়েছি। বিস্তারিত তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ফম/এমএমএ/