ফরিদগঞ্জে মাছ শিকার হচ্ছে ইলেকট্রিক শক দিয়ে, ফাঁদে শিকার হচ্ছে মানুষ!

চাঁদপুর: তথ্য প্রযুক্তি বেশীরভাগ ক্ষেত্রে মানুষের কল্যানে সহায়তা করলেও কোন কোন বিশেষ ক্ষেত্রে অকল্যানও বয়ে আনে। সে রকমই একটি হচ্ছে ইলেকট্রিক শক দিয়ে মাছ মরা। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে কিছু অপরাধী অবৈধ পন্থায় প্রাকৃতিক মৎস্য সম্পদকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। যার প্রবণতা বর্তমানে ফরিদগঞ্জ উপজেলায় দৃশ্যমান এবং ক্রমাগতভাবে বাড়ছে।

ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রাং ব্যবহার করে মাছ শিকারের ফাঁদে অনেক সময় মাছ শিকারী এবং সাধারন মানুষও শিকারে পরিনত হচ্ছে। উপজেলার উত্তরা ল ৪নং সুবিদপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের নুরপুর, উটতলী, বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতিয়া নদীতে ইলেকট্রিক শক দিয়ে অবৈধপন্তায় মাছ শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়তই ।

এই ফাঁদে ইতিমধ্যে উপজেলার নুরপুর গ্রামের ২ সন্তানের জনক ইদ্রিস বেপার মানুষ শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুর এক সপ্তাহ মৃত্যুর সাথে যুদ্ধ করে ফিরে এসেছেন ।

খবর পেয়ে ঘটনার স্থানে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২৪ ভোল্টের ব্যাটারি চার্জ দিয়ে ইনর্ভাটার মিশিনের মাধ্যমে ডিসিকে এসিতে রুপান্তর করা হয়। পবর্তিতে পানিতে নেগেটিভ আর পজেটিভ একত্রে ধরা হলে আশে-পাশের প্রায় ১৫-২০ ফিট পানি বিদ্যুতায়িত হয়ে ওই স্থানে থাকা জলজপ্রানিসহ সকল মাছ মারা যায়। আর এতে বিলুপ্ত হচ্ছে নদীর বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও জীব বৈচিত্র।

ঘটনার শিকার ইদ্রিস বেপারী জানান, আমি পানিতে ডুব দিলে তাদের নিয়ন্ত্রিত কারেন্টের আওতায় চলে যাই, এসময় ইলেকট্রিক শক খেয়ে আমার স্থাস্থ্যের নিয়ন্ত্রন হারিয়ে পেলি, পরে পানিতে শ্রোতে আমি অনেক দুরে গিয়ে কুলে বেসে থাকতে দেখে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সদর হাসাপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। সেখানে ৪দিন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আমাকে আরো ৩ মাসের চিকিৎসাদিয়ে ছুটি দিয়েছে ডাক্তার। বর্তমানে আমি ২ সন্তাননিয়ে অনেকটা কস্টে জীবন যাপন করেছি।

ঘটনার শিকার ইদ্রিস বেপারী জানান, আমি পানিতে ডুব দিলে তাদের নিয়ন্ত্রিত কারেন্টের আওতায় চলে যাই, এসময় ইলেকট্রিক শক খেয়ে আমার শারীরিক নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলি, পরে পানির স্রোতে আমি অনেক দুরে গিয়ে কুলে ভেসে থাকতে দেখে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সদর হাসাপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। সেখানে ৪দিন চিকিৎসা শেষে বাড়ী ফিরে এলও আরো ৩ মাসের চিকিৎসকের পরামর্শে চলার নির্দেশ দিয়েছে। বর্তমানে আমার স্ত্রী, সন্তান ও পরিজন নিয়ে অসহায় জীবন যাপন করেছি।

বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ ছাপা হলে তৎপর হয় প্রশাসন। গোপণ সংবাদের ভিত্তিতে ডাকাতিয়া নদীতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ইলেকট্রিক শক দিয়ে মাছ মারার যন্ত্রাংশ জব্দ করলেও শিকারীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা আকতার রুমার নেতৃত্বে পুলিশ ফোর্স ও মৎস্য অফিসে কর্মরত বিভিন্ন কর্মকর্তাদের অংশ গ্রহণে ৯ অক্টোবর শনিবার রাত ৮ ঘকিটার সময় টোরা মুন্সিরহাট ও কামতা এলাকায় ডাকাতিয়া নদীতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এসময় ব্যাটারী ও ইনর্ভাটারের সাহায্যে ইলেকট্রিক শর্ট সার্কিট দিয়ে মাছ শিকারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ জব্দ করা হয়।

এখন অসাধু মৎস্য শিকারীরা বিভিন্ন অবৈধ পন্থায় মাছ, কুইচা, কচ্ছপ শিকার করে। এটি অন্যায় বা অপরাধ। একটা নির্দিষ্ট সময় নদী খাল বিলে মাছ শিকার করবে এটা স্বাভাবিক। সরকার অত্তন্ত আন্তরিক হয়ে প্রতি বছরই উম্মূক্ত জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্ত করে। দেশব্যাপী কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে এ পোনা অবমুক্তির কারন মৎস্যজীবিদের কল্যান ও সাধারন মানুষ যেন সহজে সল্পমুল্যে ক্রয় করে খেতে পারে। কিন্তু অসাধূ মৎস্য শিকারীদের কারনে তা অধূরাই থেকে যায়।

তিনি আরো জানান, ইলেকট্রিক সার্কিট দিয়ে এভাবে সরাসরি মাছ বা কোন কিছু শিকারের অনুমতি নেই। দেশের সম্পদ রক্ষার স্বার্থে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ফম/এমএমএ/

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | ফোকাস মোহনা.কম