চাঁদপুর: করোনা মহামারীর কারনে দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ফরিদগঞ্জে প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে ছাত্র-ছাত্রী অনুপস্থিতি প্রায়ই লক্ষ করার মত। স্কুল খুলেছে দীর্ঘ প্রায় দুই মাস হলেও এখন পর্যন্ত অনুপস্থিত শিক্ষার্থী ৪ হাজার ৭১৩জন। যা গড়ে প্রায় ১২.৭৬ শতাংশ।
গত ১২ সেপ্টেম্বর সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে। সে অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারিরীক দুরত্ব বজায় রেখে ১ম শ্রেণী থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত ক্লাশ চলমান রয়েছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা খুশী হলে ও দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারনে অনেক শিক্ষার্থী ক্লাসে যোগদান করেনি। এনিয়ে হতাশ সচেতন নাগরিকরা।
সরকারের পক্ষে থেকে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিচ্ছিত করার জন্য, তা বাস্তবায়ন করতে পারবে কি প্রাথমিক শিক্ষা অফিস এমন প্রশ্ন সচেতন মানুষের।
উপজেলা প্রাথমিক ও গনশিক্ষা অফিস সুত্রে জানাযায়, ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১৯০টি প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে এতে মোট শিক্ষার্থী রয়েছে ৩৬ হাজার ৯শত ১৯ জন। অনুপস্থিত শিক্ষার্থী রয়েছে ৪ হাজার ৭১৩ জন। যা গড়ে অনুপস্থিথির হার ১২.৭৬ শতাংশ।
শ্রেনীবিন্যাস করে জানাযায়, প্রথম শ্রেণীতে ৭ হাজার ৫শত ৭০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১ হাজার ১ শত ১৭ জন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত রয়েছে। দ্বিতীয় শ্রেণীতে ৭ হাজার ৫শত ৮২জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৯শত ৭ জন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত রয়েছে। তৃতীয় শ্রেণীতে ৭হাজার ৪শত ৩২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১ হাজার ৩৭ জন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত রয়েছে। চতুর্থ শ্রেণীতে ৭ হাজার ২শত ৯৬ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১ হাজার ১৯ জন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত রয়েছে। পঞ্চম শ্রেণীতে ৭হাজার ৩৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৬ শত ৩৩ জন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত রয়েছে।
সচেতন নাগরিকদের সাথে আলোচনা করলে তারা বলেন, র্দীঘ দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিলো। তাই শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসার ব্যাপারে অমনোযোগী। শিক্ষকরা যদি শিক্ষার্থীর পরিবারের ও শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে এবং তাদের কে সঠিক নিয়মে কাউন্সিলিং করে তা হলে হয়তো বা তাদের কে ক্লাশে ফিরে আনা সম্বাব। আমরা দেখেছি এ বিষয়ে শিক্ষকদের তেমন কোন মনোযোগ নেই।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মনির উজ্জামান বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরির্দশন করতেছি। শিক্ষকদের বলেছি ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য। প্রয়োজন হলে বাড়িতে গিয়ে দেখা করার জন্য। কেনো শিক্ষার্থী অনুপস্থিত তা সনাক্ত করতে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিউলী হরি বলেন, এ বিষয় সম্পর্কে আমার কোনো ধারনা নাই। এ বিষয়টি প্রথম শুনলাম। আমি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলবো।
ফম/এমএমএ/